জুমবাংলা ডেস্ক : মুন্সীগঞ্জে পিকনিকের লঞ্চ ভাঙচুর ও দুই নারীকে প্রকাশ্যে মারধরের ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলায় মারধরকারী তরুণ নেহাল আহমেদ ওরফে জিহাদের নামে উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা ২০–২৫ জনকে আসামি করা হয়েছে।
আজ রোববার (১১ মে) মুন্সীগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল আলম এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, মুক্তারপুর নৌপুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক (এসআই) মোহাম্মদ মিলন বিশ্বাস শনিবার মধ্যরাতে এ মামলা করেন।
‘মামলায় একজনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে এবং ২০-২৫ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে। আজ দুপুর পর্যন্ত এ মামলায় একজনই গ্রেপ্তার আছেন। গ্রেপ্তার নেহাল আহমেদ জিহাদকে (২৪) আদালতে পাঠানো হয়েছে। পুলিশ পাঁচ দিনের রিমান্ড চাইবে। তবে, আদালত রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন কি না তা সন্ধ্যায় জানা যাবে,’ বলেন তিনি।
এজাহার অনুযায়ী, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ১০ ধারায় মামলাটি হয়েছে। এতে যৌন নিপীড়ন, বেআইনি জনতাবদ্ধ হয়ে অনধিকার প্রবেশ, মারধর করে ভাঙচুর, ক্ষতি ও হুমকির অভিযোগ আনা হয়েছে।
মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে মুন্সিগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল আলম বলেন, শুক্রবার ১৯-২০ বছর বয়সী দুই তরুণীকে মারধরের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়। সে ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে শনিবার আমরা জিহাদকে (নেহাল আহমেদ) থানায় আসতে বলি। তিনি থানায় এলে তাঁকে আটক করি। এ ঘটনায় মামলা করার জন্য ওই তরুণীদের থানায় আসতে বলা হয়, কিন্তু তাঁরা কেউ আসেননি। লঞ্চ কর্তৃপক্ষকেও অভিযোগ দিতে বলা হয়, তারাও আসেনি। পরে পুলিশ বাদি হয়ে মামলাটি করে।
ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিওতে দেখা যায়, এমভি ক্যাপ্টেন নামের ওই লঞ্চে দুই তরুণীকে লঞ্চের একেবারে সামনের অংশে উঠিয়ে বেল্ট দিয়ে পেটাচ্ছেন এক তরুণ। সে সময় স্থানীয় লোকজন সেই দৃশ্য মুঠোফোনে ধারণ করে উল্লাস করছিলেন ও বিভিন্ন স্লোগান দিচ্ছিলেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।