জুমবাংলা ডেস্ক : ফেসবুকে ছবি দেখে এক তরুণীকে পছন্দ করে তিন বন্ধু। মোবাইল নম্বর সংগ্রহ করে শুরু করেন কথাবার্তা। এক পর্যায়ে ওই তরুণীর সঙ্গে গভীর সর্ম্পকে জড়িয়ে যান তিনজনই। এ নিয়ে দুই বন্ধুর মধ্যে মারামারির ঘটনাও ঘটে।
এ ঘটনার জেরে দুই বন্ধু একত্র হয়ে জেদ মেটাতে অপর বন্ধু আকাশকে (২০) ডেকে নিয়ে হত্যা করেন। এ ঘটনার চারদিন পর হত্যায় অভিযুক্ত মিলন (২০) ও রবিন মিয়াকে (১৯) গ্রেপ্তার করে ডিবি পুলিশ।
শনিবার (৩০ নভেম্বর) দুপুরে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এমন তথ্য দিয়েছে ময়মনসিংহ ডিবি পুলিশ। নিহত তরুণের নাম মো. আকাশ মিয়া (২০)।
তিনি কোতোয়ালি থানাধীন চর হাসাদিয়া এলাকার মো. খোকন মিয়ার ছেলে।
জানা যায়, গত ২৬ নভেম্বর গভীর রাতে ময়মনসিংহ কোতোয়ালি থানা এলাকার টেকের মাথা কালভার্ট সংলগ্ন ফসলি জমিতে স্থানীয়রা অজ্ঞাতনামা এক তরুণের মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে। পুলিশকে খবর দিয়ে এলাকাবাসী ও মৃতের আত্মীয়-স্বজনের মাধ্যমে পরিচয় সনাক্ত করা হয়।
তাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে গলা কেটে হত্যা করে অটোরিকশা ছিনিয়ে নেওয়া হয় বলে ধারণা করে পুলিশ। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ধারালো অস্ত্র ও নিহতের ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটি উদ্ধার করা হয়। ঘটনার পরদিন কোতোয়ালি থানায় একটি হত্যা মামলা রুজু হয়।
মামলা রুজু হওয়ার পর থেকে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল তদন্তে নামে। শুক্রবার ভোরে ঢাকার মহানগরীর খিলগাঁও গার্লস স্কুলের পিছনের বস্তি থেকে আসামি মো. রবিন মিয়াকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
তার দেওয়া তথ্য মতে ওই এলাকার অপর এক বস্তি থেকে মূল আসামি মো. মিলনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের দেওয়া তথ্য মতে ময়মনসিংহের ভালুকা থানার জামিরদিয়া মাস্টারবাড়ী এলাকার একটি গ্যারেজের সামনে থেকে অটোরিকশাটি উদ্ধার করা হয়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তারকৃতরা পুলিশকে জানান, আসামি মিলন ঢাকায় পোশাক শিল্পের শ্রমিক এবং রবিন চালের আড়তে শ্রমিক হিসেবে কাজ করেন। ফেসবুকে একটি মেয়ের সঙ্গে পরিচয়ের সূত্র ধরে ভিকটিম আকাশ ও আসামি মিলনের দ্বন্দ্ব শুরু হয়। বিষয়টি নিয়ে প্রায় দুই মাস আগে তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি ও হাতাহাতি হয়।
তারা আরো জানান, কথা কাটাকাটির জেরে আসামি মিলন ও রবিন ঢাকা থেকে আকাশকে হত্যা ও তার অটো ছিনতাইয়ের পরিকল্পনা করে বাড়িতে যান। ঘটনার দিন সন্ধ্যায় তারা আকাশের অটোরিকশা নিয়ে ঘুরতে বের হন। এক পর্যায়ে অটোর পেছনের সিট থেকে আসামি মিলন ভিকটিম আকাশের গলায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে পোঁচ দেন। পরে মৃত্যু নিশ্চিত করে রাস্তার পাশের ফসলি জমিতে মরদেহ ফেলে অটোরিকশা নিয়ে চলে যান।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।