লাইফস্টাইল ডেস্ক : আমের দাম এখন হাতের নাগালে, তাই প্রতিদিনের খাবার তালিকায় আমকে প্রাধান্য দিচ্ছেন অনেকেই। কিন্তু যারা অতিরিক্ত ওজন নিয়ে চিন্তিত তারা আম খেলে ওজন বাড়তে পারে এমন শঙ্কায় থাকেন। তাহলে ক্যালরি মেপে যারা খাওয়াদাওয়া বা ডায়েট করেন, তারা কি আম খাবেন না কিংবা খেলেও কতটুকু খাবেন, এমন প্রশ্নের উত্তরগুলো চলুন জেনে নেওয়া যাক।
আমে শর্করার পরিমাণ বেশি : আমে শর্করা আছে যথেষ্ট পরিমাণে। ডায়াবেটিস রোগীদের শর্করা পরিমাপ করে খাওয়া উচিত। আমের গ্লাইসেমিক ইনডেক্স মাঝারি মাত্রার, ৬০ থেকে ৮৫। বেশি আম খেলে রক্তে শর্করা বেড়ে যাওয়ার সম্ভবনা আছে। একজন ডায়াবেটিস রোগী প্রতিদিন পাকা মিষ্টি আম ৩০ থেকে ৪০ গ্রাম খেতে পারেন। মানে একটি ছোট আম বা মাঝারি আমের অর্ধেক খাওয়া যাবে। এ ক্ষেত্রে খাদ্য তালিকা থেকে অন্যান্য শর্করাকে বাদ রাখতে হবে। বিশেষ করে ভাত ও রুটি।
ওজন বাড়ে আমে : আম খেলে দ্রুত যেমন পেট ভরে যায় তেমনি এটি দ্রুত হজম ও শোষণও হয়ে যায়। যারা নিয়ম মেনে ডায়েট করছেন, তাদের আম সীমিত পরিমাণে খাওয়া উচিত। অন্যদিকে আমের শরবত, আইসক্রিম, আমের চাটনি খেলে মেদ যে বাড়বে এতে কোনো সন্দেহ নেই। কারণ এসবে অতিরিক্ত চিনি যোগ করা হয়। কিন্তু তাজা আম খেলে এমন সমস্যা অপেক্ষাকৃত কম। যেহেতু আমে ক্যালরির পরিমাণ বেশি, তাই যারা ক্যালরি মেপে খান বা ডায়েট করেন, তারা প্রতিদিনের খাদ্যতালিকা থেকে আমের ক্যালরি পরিমাণ খাবার বাদ দিতে পারেন। এতে ওজন বাড়ার আশঙ্কা থাকবে না। আর বেশি বেশি আম খেতে থাকলে ওজন বাড়বে এত কোনো সন্দেহ নেই।
আম হৃদরোগীদের জন্য উপকারী : হার্টের অসুখ আছে এমন রোগীরা আম খেতে পারবেন। হৃৎপিণ্ড সুস্থ রাখতে আম খাওয়া ভালো। কারণ, পটাশিয়াম ও ম্যাগনেসিয়াম হৃদরোগীদের জন্য বিশেষ উপকারি। কিন্তু যাদের হৃদরোগের সঙ্গে ডায়াবেটিস বা কিডনি রোগও আছে তাদের আম না খাওয়াই ভালো। আর যদি কারও খেতে বিশেষ ইচ্ছে করেই থাকে তাহলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।