সাইফুল ইসলাম, মানিকগঞ্জ : মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটি দিয়ে চলছে মানিকগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগ। কমিটির মেয়াদ শেষ হওয়ার প্রায় ২ বছর পেরিয়ে গেলেও এখনো পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করা হয়নি সংগঠনটির। এদিকে নতুন কমিটি না হওয়ায় স্থবির হয়ে পড়েছে সংগঠনটির জেলা শাখার কার্যক্রম। এরই মধ্যে নানা বিতর্কিত কর্মকাণ্ডে জরিয়ে পড়ার অভিযোগ উঠেছে সংগঠনটির বর্তমান কমিটিরি শীর্ষস্থানীয় নেতৃবৃন্দের বিরুদ্ধে। নতুন কমিটি না হওয়ায় ঝিমিয়ে পড়েছেন সংগঠনটির বহু নেতাকর্মীরা। এতে পদবঞ্চিত ও ত্যাগী নেতা-কর্মীদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। দ্রুত নতুন কমিটি দিয়ে নেতাকর্মীদের মধ্যে সক্রিয়তা ফিরিয়ে আনার দাবি তাদের।
জানা গেছে, ২০২১ সালের ২৬ জুলাই কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের তৎকালীন সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় ও সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য সংগঠনের প্যাডে এক বছরের জন্য এমএ সিফাত কোরাইশী সুমনকে সভাপতি এবং রাজিদুল ইসলামকে সাধারণ সম্পাদক করে মানিকগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের ২৫ সদস্যবিশিষ্ট আংশিক কমিটি ঘোষণা করেন। সেসময় জেলায় ছাত্রলীগের একাধিক প্রার্থী থাকা সত্ত্বেও কাউন্সিল না দিয়ে ছাত্রলীগের প্যাডে কমিটি ঘোষণা করায় অনেকেই ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
নেতাকর্মীদের অভিযোগ, জেলায় ছাত্রলীগের একাধিক প্রার্থী থাকা সত্ত্বেও সেসময় কাউন্সিল না দিয়ে ছাত্রলীগের প্যাডে কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। কমিটিতে ব্যবসায়ী, মাদকসেবী, মাদকবিক্রেতা, ধর্ষণকারী, বিবাহিত ও বিএনপি পরিবারের সদস্যরা স্থান পেয়েছে। ইতোমধ্যে জেলা ছাত্রলীগের বিভিন্ন নেতাকর্মীদের নানা অপকর্ম নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি এমএ সিফাত কোরাইশী সুমনের বিরুদ্ধেও বয়স জালিয়াতির অভিযোগ রয়েছে। এছাড়া সভাপতি এমএ সিফাত কোরাইশী সুমন ও সাধারণ সম্পাদক রাজিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে পদবাণিজ্যের অভিযোগও করেছেন জেলার বিভিন্ন ইউনিটের পদবঞ্চিত নেতাকর্মীরা।
ছাত্রলীগের একাধিক নেতাকর্মী ক্ষোভ প্রকাশ করে জানান, ২০২২ সালের ২৭ জুলাই বর্তমান কমিটির মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে। মেয়াদ উত্তীর্ণের প্রায় দুই বছর পেরিয়ে গেলেও এখনও পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করতে পারেনি জেলা ছাত্রলীগের বর্তমান কমিটি। মেয়াদ থাকাকালীন সময়ে শুধুমাত্র জেলার হরিরামপুর উপজেলার ঝিটকা কৌড়ি কলেজ এবং খাজা রহমত আলী ডিগ্রি কলেজের আহ্বায়ক কমিটি করে দেওয়া হয়েছে। এরপর জেলা ছাত্রলীগের বর্তমান কমিটির মেয়াদ শেষ হ্ওয়ার পর মাদকসেবী, মাদকবিক্রেতা, ধর্ষণকারী, বিবাহিত ও বিএনপি পরিবারের সদস্যসহ নানা বিতর্কিতদের নিয়ে জেলার বিভিন্ন ইউনিটের কমিটি গঠন করা হয়েছে। এ নিয়ে ইতোপূর্বে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে।
মানিকগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি এমএ সিফাত কোরাইশী সুমন বলেন, আমাদের ২৫ সদস্য বিশিষ্ট আংশিক কমিটিতে গুরুত্বপূর্ণ সবগুলো পদই দেয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে আমাদের সবগুলো উপজেলাসহ বিভিন্ন ইউনিটের কমিটি দেয়া হয়েছে। বাকি সব ইউনিটের কিমিটি দেয়ার পর জেলার পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করা হবে।
এ বিষয়ে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান বলেন, সংগঠনের গতিশীলতার স্বার্থে আমরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।