জুমবাংলা ডেস্ক : ঈশ্বরদীতে মোরগ আল্লাহ আল্লাহ ডাকছেন, এতে বিস্মিত এলাকাবাসী। মোরগের কন্ঠে এ ডাক শুনতে প্রতিদিন দুরদুরান্ত থেকে হাজারো মানুষ ভিড় জমাচ্ছেন উপজেলার দাশুড়িয়া ইউনিয়নে। প্রয়োজনের তাগিদে মোরগ ধরে বিক্রি বা জবাই করতে গেলেই মোরগ আল্লাহ আল্লাহ ডাক শুরু করে। মোরগের মালিক জানান তিনি এ মোরগ বিক্রি বা জবাই করবেন না। উপজেলার দাশুড়িয়া ইউনিয়নের মানিককৌড় (ডিগ্রিপাড়া) এ ঘটনা ঘটেছে। মানিককৌড় গ্রামের সাইদার হোসেন মোল্লার বাড়িতে প্রায় এক মাস ধরে মোরগের এ ডাক শুনছেন এলাকাবাসী।
সাইদার মোল্লা জানান, সংসারের বাড়তি উপার্জনের জন্য মোরগ-মুরগী পালন করি। তিনটি মোরগ বড় হওয়ার পর দুইটি পাশের বাড়ি বিক্রি করি এবং একটি নিজেরা জবাই করি খাই। পাশের বাড়ি দুইটির মধ্যে একটি জবাই করে খাওয়ার পরের দিন এই মোরগ জবাই করতে গেলে আল্লাহ আল্লাহ বলে ডাকতে শুরু করে। তখন তারা জবাই না করে মোরগটি ফেরত দেয়। এরপর থেকেই মোরগ ধরলেই আল্লাহ আল্লাহ বলে ডাক শুরু করে দেয়। এজন্য সিদ্ধান্ত নিয়েছি এ মোরগ বিক্রি বা জবাই করবো না। যে কয়দিন বাঁচে এভাবেই থাকবে।
এলাকার এক যুবক জানান, মোরগটি আমি জবাই করতে গিয়েছিলাম। যখন চাকু হাতে নিয়েছি তখনই আল্লাহ আল্লাহ বলে ডাকছিলো।এই ডাক শুনে আর জবাই করিনি। এরপর থেকে মোরগটির কণ্ঠে আল্লাহ আল্লাহ ডাক শুনতে পাচ্ছি। এমনকি আশপাশে ঘুরাঘুরি করার সময়ও মাঝে মধ্যেই আল্লাহ আল্লাহ বলে ডাক শুনতে পাই। এলাকাবাসী জানায়, ১৬ আগষ্ট সাইদার মোল্লার নিকট থেকে তানিয়া খাতুন দুইটি মোরগ কিনেছিলাম। এরমধ্যে একটি জবাই করেন। এই মোরগটি জবাই করার সময় আল্লাহ আল্লাহ বলে ডাক দেয়।
তিনি জানান, তখন জবাই না করে মোরগটির এ রকম অলৌকিক ডাক শুনতে আমরা তানিয়ার বাসায় ছুটে আসি।এসে দেখি মোরগ আল্লাহ আল্লাহ বলে উচ্চারন করছে। তারপরই তানিয়া খাতুন মোরগ টি সাইদার মোল্লার কাছে হস্তান্তর করেন।এদিকে মোরগের এমন ডাক শুনতে প্রতিদিনই দুর-দুরান্ত থেকে মানুষজন বাড়িতে ভিড় জমাচ্ছে।
সাইদার মোল্লার পাসের বাড়ি এক প্রতিবেশি জানান, মোরগের মুখে আল্লাহ ডাক শুনা যাচ্ছে এটি জানার পর দেখতে এসেছিলাম। মোরগের কণ্ঠে আল্লাহ ডাক শুনে আমি অনেকটা অবাক হয়েছি।জীবনের প্রথম এমন ডাক শুনতে পেলাম নিজের চোখেও দেখলাম। এমন সুস্পষ্ট আল্লাহ ডাক শুনতে অনেকেই দূর দুরান্ত থেকে ছুটে আসছেন।
ধানক্ষেত থেকে ড্রেনে চলে আসলো বিশালাকার মাছ, দুর্দান্ত কায়দায় ধরলো যুবক
দাশুড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বকুল সরদার বলেন, আমি ঘটনাটি শুনেছি। আজ যে কোন সময় নিজেই ওই মোরগের কণ্ঠে আল্লাহ ডাক শুনতে যাবো। উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা নাজমুল ইসলাম বলেন, ঘটনাটি অনেকটা অবাক করার মতো। হরমোনের কারনে অনেক সময় এমনটা হয়। আমি এ বিষয়টি উপরস্থ বিশেষজ্ঞর সঙ্গে কথা বলেছি। এ মূহুর্তে কোন ব্যাখ্যা দিতে পারছিনা।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।