লাইফস্টাইল ডেস্ক : সবুজ সতেজ পালং শাক যেমন নজর কাড়ে, তেমন পুষ্টিতেও সমৃদ্ধকে করে মানব শরীরকে। নানারকম খাবারে পালং শাকের ব্যবহারও বহুমুখী। আবার এই শাক দিয়ে এককভাবেই বানানো যায় নানা পদ। পালং শাকে আছে নানা পুষ্টিগুণ।
পুষ্টিবিদরা বলেছেন, পালং শাক বিভিন্ন রকম অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ। এতে থাকে লুটেইন, বিটা ক্যারোটিন ভিটামিন সি। এগুলো সার্বিকভাবে স্বাস্থ্য ভালো রাখে। অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ফ্রি রেডিকেল থেকে সুরক্ষিত রাখতে সহায়তা করে। ফ্রি রেডিকেলের ফলে দেহের কোষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে অক্সিডেটিভ চাপের সৃষ্টি হয়। ফলে দীর্ঘমেয়াদি অসুখ যেমন ক্যান্সার, হৃদরোগ ও টাইপ-২ ডায়াবেটিস হয়ে থাকে। অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ক্ষতিগ্রস্ত কোষের ক্ষয় পূরণে সহায়তা করে।
পটাসিয়াম থাকায় রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে পালংশাক। পটাসিয়াম দেহে সোডিয়ামের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে। উচ্চমাত্রার সোডিয়াম রক্তচাপ বৃদ্ধি করে। পালংশাক ফোলেইট ও ম্যাগনেসিয়ামেরও ভালো উৎস। এই দুই পুষ্টি উপাদান দেহে নাইট্রিক অক্সাইডয়ের উৎপাদন বাড়ায় যা রক্তচাপ কমানোর অণু তৈরিতে সহায়তা করে।
মস্তিষ্কের সুস্বাস্থ্যের জন্য পালংশাক সেরা খাবার। পালং শাকের মতো সবুজ শাক প্রতিদিন খাওয়ার ফলে বয়সের কারণে হওয়া জ্ঞানীয় দক্ষতার হ্রাস অনেকটাই কমে যায়। এতে উচ্চমাত্রায় লুটেইন, বিটা ক্যারোটিন, ফোলেইট ও ফিলোকুইনয়ন (ভিটামিন কে’ একটি ধরন) থাকার ফলে মস্তিষ্কের কোষকে সুরক্ষিত রাখতে সহায়তা করে।
রক্তের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে লৌহ যোগায়। পালংশাক লৌহের ভালো উৎস। লৌহ এমন একটি খনিজ যা রক্তের লোহিত কণিকার মূল উপাদান হিমোগ্লোবিন তৈরিতে ভূমিকা রাখে। এই কোষগুলো সারা দেহ ও কোষে অক্সিজেন পরিবহন করে। তাই এগুলো অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। দুই ধরনের লৌহ রয়েছে, একটি হল ‘হিম’ যা প্রাণিজ খাবারে পাওয়া যায় এবং অন্যটি হল ‘নন-হিম’ যা উদ্ভিজ্জ খাবার যেমন পালংশাকে পাওয়া যায়। শরীর হিম এবং নন-হিম কোনো ধরনের লৌহ সরাসরি শোষণ করতে পারে না। তবে ভিটামিন সি যোগ করার মাধ্যমে এই শোষণ বাড়ানো যায়।
পালং শাকে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট লুটেইন ও জিয়াক্সান্থিন যা ভিটামিন এ’য়ের সাথে সম্পর্কিত। দুই পুষ্টি উপাদানই চোখকে সূর্যের হাত থেকে রক্ষা করে এবং অক্সিডেটিভ চাপ কমায়। ফলে বয়স বৃদ্ধির সঙ্গে চোখের রোগ যেমন- ‘ম্যাককুলার ডিজেনারেইশন’ এবং ছানিসহ নানান সমস্যা কমাতে সহায়তা করে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।