জুমবাংলা ডেস্ক : মতিয়া চৌধুরী। বাংলাদেশি নারী রাজনীতিবিদদের মধ্যে প্রভাবশালী এক নাম। ১৯৪২ সালের ৩০ জুন পিরোজপুরে জন্ম নেওয়া এই নেতার রাজনৈতিক জীবন শুরু হয় বামপন্থী রাজনীতি দিয়ে। তিনি শেরপুর-২ আসনের বার বার নির্বাচিত সাবেক সংসদ সদস্য।
ইডেন কলেজে অধ্যয়নরত অবস্থায় ছাত্র রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়েন। ১৯৬৫ সালে বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি নির্বাচিত হন। ১৯৬৭ সালে পূর্ব পাকিস্তান ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টিতে যোগ দেন মতিয়া চৌধুরী। পরে কার্যকরী কমিটির সদস্য হন। ১৯৭০ ও ১৯৭১ এর মাঝামাঝি সময়ে তিনি বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম, প্রচারণা, লবি ও আহতদের চিকিৎসায় সক্রিয় অংশগ্রহণকারী ছিলেন। সর্বশেষ আওয়ামী লীগে যোগ দেন মতিয়া। ১৯৭১ সালে তিনি দলটির সাংগঠনিক সম্পাদক নির্বাচিত হন। রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ও হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদের আমলে বেশ কয়েকবার গ্রেপ্তার হন অগ্নিকন্যাখ্যাত এই নেতা।
বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে বিশেষ অবদানের জন্য ২০২১ সালে বাংলা একাডেমি তাকে সম্মানসূচক ফেলোশিপ প্রদান করে। ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে জাতীয় সংসদ বিলুপ্তের মাধ্যমে সংসদ সদস্য পদ হারান তিনি।
মতিয়া চৌধুরীর পিতা মহিউদ্দিন আহমেদ চৌধুরী ছিলেন পুলিশ কর্মকর্তা এবং মা নুরজাহান বেগম ছিলেন গৃহিণী। ১৯৬৪ সালের ১৮ জুন তিনি বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। তার স্বামী খ্যাতিমান সাংবাদিক বজলুর রহমান।
১৯৯৬ ও ২০০৯ এবং ২০১৩ সালে আওয়ামী লীগ শাসনামলে কৃষিমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন বেগম মতিয়া চৌধুরী। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তিনি আওয়ামী লীগের ১ নং প্রেসিডিয়াম সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। ১২ জানুয়ারি ২০২৩ সালে তিনি জাতীয় সংসদের সংসদ উপনেতা হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। ২০২৪ সালে জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের পর রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন জাতীয় সংসদ বিলুপ্ত করলে তিনি সংসদ সদস্য পদ হারান।
আওয়ামী লীগের এই বর্ষীয়ান নেতা ২০২৪ সালের ১৬ অক্টোবর রাজধানীর একটি বেসরকারি চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।