বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ডেস্ক : পিরামিডের চারপাশে পাওয়া যাচ্ছে বুদবুদ। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্লাজমা বুদবুদ। এ ঘটনা নতুন নয়, এর আগেও বহুবার এই প্লাজমা বুদবুদের সন্ধান পাওয়া গিয়েছে। প্রথমে ভাবা হত এই বুদবুদ ভেসে বেড়ানোর জন্য এলিয়েনরা জড়িত। এর পেছনে তাদের কোনও ষড়যন্ত্র রয়েছে। সেই ষড়যন্ত্রের পেছনে আসল রহস্য উদ্ধার করলেন বিজ্ঞানীরা।
সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক ও বৈজ্ঞানিক কারণ রয়েছে এর পেছনে, এমনটাই দাবি বিজ্ঞানীমহলে। শুধু মিশরের পিরামিডের আশপাশেই নয়, এই ধরনের পাওয়া গিয়েছে বুদবুদ মিডওয়ে দ্বীপেও। এখানে একসময় মার্কিন নৌবাহিনীর একটি গুরুত্বপূর্ণ ঘাঁটি ছিল।
বিজ্ঞানীদের মতে, কোনও এলিয়েনরা এই প্লাজমা বুদবুদ সৃষ্টি করে না। এই বুদবুদের উৎস খুঁজে পেতে তারা নিম্ন অক্ষাংশ লং রেঞ্জ আয়োনোস্ফেরিক র্যাডার (এলএআরআইডি) ব্যবহার করেছেন। পর্যবেক্ষণ করে জানিয়েছেন, সুপরিচিত মহাকাশ আবহাওয়ার অসঙ্গতিগুলিকে নিরক্ষীয় প্লাজমা বুদবুদ (EPBs) বলা হয় এবং এগুলি পৃথিবীর আয়নোস্ফিয়ার অঞ্চলে ঘটে। পৃথিবীর উপরের বায়ুমণ্ডলে চার্জযুক্ত কণাগুলির অদৃশ্য হওয়ার কারণে ঘটে অসঙ্গতি। এটি এমন একটি অঞ্চল তৈরি করে যেখানে ইলেকট্রনের মাত্রা কম, ফলত সেগুলোকে দেখতে বুদবুদের মতোই লাগে।
বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন, সূর্যের অতিবেগুনি আলো পরমাণু থেকে ইলেকট্রনগুলিকে ছিটকে দেয়, যা পৃথিবীপৃষ্ঠের উপরে ৫০ থেকে ৪০০ মাইল পর্যন্ত বিস্তৃত আয়নগুলির একটি বিচ্ছুরিত স্তর তৈরি করে। এতে আয়নোস্ফিয়ারে কম ঘনত্বের পকেট তৈরি হয়। এই বুদবুদ রেডিও এবং উপগ্রহ-ভিত্তিক যোগাযোগকে উল্লেখযোগ্যভাবে প্রভাবিত করতে পারে। এগুলি কয়েকশো মাইল পর্যন্ত প্রসারিত হতে পারে এবং এমনকি এর ফলে জিপিএস এবং স্যাটেলাইট যোগাযোগের মতো জিনিসগুলিকে ব্যাহত করতে পারে। চিনের বেইজিংয়ের চাইনিজ একাডেমি অফ সায়েন্সের অংশ ইনস্টিটিউট অফ জিওলজি অ্যান্ড জিওফিজিক্সের বিজ্ঞানীরা অগস্টে বলেছিলেন, যে সৌরঝড়ের ফলে প্লাজমা তৈরি হয়। এইভাবে তৈরি হওয়া প্লাজমা বুদবুদগুলি গত বছরের নভেম্বরে মিশর এবং আশপাশের অঞ্চলের নিম্ন অক্ষাংশে তাদের র্যাডারে ধরা পড়েছিল।
প্লাজমা বুদবুদ সনাক্ত করার জন্য এই জাতীয় র্যাডারগুলির আরও বিস্তৃতি প্রয়োজন। এই কারণে চিনা বিজ্ঞানীরা বিশ্বজুড়ে কম অক্ষাংশ এলাকায় তিন থেকে চারটি LARID-এর মতো ওভার-দ্য-হাইজন র্যাডারের একটি নেটওয়ার্ক ইনস্টল করার কথাও চিন্তাভাবনা করছেন বলে জানিয়েছেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।