আন্তর্জাতিক ডেস্ক: পাকিস্তানি বধূ সীমা হায়দার এবং তার ভারতীয় প্রেমিক সচিন মিনার আধার কার্ড-সহ অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ নথি বদলানোর অভিযোগে আটক দুই যুবক। অভিযুক্ত দুই যুবককে বুলন্দশহরের আহমদগড়ের একটি জনসেবা কেন্দ্র থেকে আটক করেছে উত্তরপ্রদেশ এটিএস (অ্যান্টি টেররিজম স্কোয়াড)।
অভিযুক্ত পুষ্পেন্দ্র মিনা এবং পবন মিনা ওই জনসেবা কেন্দ্রেই কাজ করতেন। পুলিশ সূত্রে খবর, পুষ্পেন্দ্র এবং পবন সম্পর্কে ভাই-ভাই। তারা সচিনের তুতো ভাই বলেও পুলিশ সূত্রে খবর। কেন অভিযুক্তরা সীমা-সচিনের নথি পরিবর্তন করেছেন এবং কার নির্দেশেই বা করেছেন, তা নিয়ে ইতিমধ্যেই তদন্তে নেমেছেন এটিএস তদন্তকারীরা।
সীমার ভারতে অনুপ্রবেশ দিয়ে ক্রমশ ঘনীভূত হচ্ছে রহস্য। জট ছাড়াতে তদন্তে নেমেছে উত্তরপ্রদেশ এটিএস এবং ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থাগুলি। সীমা আসলে কে? ভারতীয় প্রেমিকের টানে সীমান্ত পার করে আসা সাধারণ বধূ, না পাক গুপ্তচর, তা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে।
সীমা পাকিস্তানের কোনও চর কি না, তার তদন্তই সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে এটিএসের কাছে। যে কারণে তার ঠিকুজি-কুষ্ঠি সব জোগাড় করার চেষ্টা চালাচ্ছেন তদন্তকারীরা। যদিও সীমা বারবারই দাবি করেছেন, তিনি চর নন।
সীমা এবং সচিনের দাবি, ২০১৯ সালে অনলাইন গেম পাবজি খেলার সময় তাদের পরিচয় হয়। সেখান থেকে প্রেম। ২২ বছরের যুবকের প্রেমে পড়ে প্রায় ১,৩০০ কিলোমিটার দূর থেকে ছুটে আসেন ৩০ বছরের সীমা। সঙ্গে তার চার সন্তানকেও নিয়ে আসেন তিনি।
ভিসা ছাড়া দুবাই হয়ে নেপালের পথে বেআইনি ভাবে ভারতে প্রবেশ করার অভিযোগে ৪ জুলাই গ্রেফতার হন সীমা। তাকে আশ্রয় দিয়ে গ্রেফতার হন সচিন এবং তার বাবা নেত্রপাল। পরে জামিনে ছাড়াও পান তারা।
জেল থেকে ছাড়া পাওয়ার পর সীমা দাবি করেন, তিনি হিন্দু ধর্ম গ্রহণ করেছেন। তার কথায়, ‘‘সীমা হিন্দু এবং মুসলমান যে কোনও ধর্মের মেয়েদেরই নাম হয়। তাই আমি এখন থেকে শুধুই সীমা। অথবা, নিজেকে সীমা সচিন বলে পরিচয় দেব। আমার সন্তানদেরও নাম পরিবর্তন করে রাজ, প্রিয়াঙ্কা, পরি এবং মুন্নি রেখেছি।’’
তিনি এখন প্রতি দিন ঈশ্বরের পুজো করার পর হাত জোড় করে সকলকে নমস্কার করেন এবং বড়দের পা ছুঁয়ে প্রণাম করেন বলেও দাবি করেন তিনি। তার দাবি, তিনি নিরামিষ খাবার খাওয়াও শুরু করেছেন।
প্রসঙ্গত, সচিনের পরিবার সূত্রে জানানো হয়েছে, বার বার জেরার জন্য সীমা এবং সচিনকে তলব করছেন এটিএস তদন্তকারীরা।এর মধ্যেই তাঁকে ভারতেই থাকতে দেওয়ার আর্জি জানিয়ে ভারতের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর কাছে আর্জি জানিয়েছেন সীমা।
তার আবেদন, তিনি আর পাকিস্তান ফিরতে চান না। সন্তানদের নিয়ে ভারতেই থেকে যেতে চান। এ দেশের আইন তাকে যা সাজা দেবে, তাই মাথা পেতে নেবেন বলেও সীমা জানিয়েছেন। এর আগে প্রধানমন্ত্রী মোদী এবং উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের কাছেও একই আর্জি জানিয়েছিলেন সীমা।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।