জুমবাংলা ডেস্ক : জাতীয় নাগরিক পার্টির প্রতিনিধি কমিটির সদস্য খোকন হাওলাদারকে তুলে নিয়ে পিটিয়ে আহত করার অভিযোগ উঠেছে। গত রবিবার বিকেলে ভোলার লালমোহন মডেল মসজিদ এলাকা থেকে তাকে তুলে নিয়ে কলেজ রোডের বাগানে মারধর করা হয়েছে।
এ সময় ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছে খোকনের সঙ্গে থাকা মোবাইলে ফোন ও পরিবারের জন্য করা নিত্যপণ্যের বাজারের ব্যাগ। খবর পেয়ে স্বজনরা গিয়ে তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেন। এ ঘটনার জন্য বিএনপির প্রতি অভিযোগের আঙুল তুলেছেন আহত খোকন হাওলাদার। তবে উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব শফিকুল ইসলাম বাবুলের দাবি, এ হামলার সঙ্গে বিএনপির কেউ জড়িত নন।
আহত খোকন হাওলাদারের বাড়ি কালমা ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের চর ছকিনা গ্রামে। ভোলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন খোকন হাওলাদার অভিযোগ করেন, গত রোববার বিকেলে লালমোহন থেকে নিত্যপণ্য কিনে বাড়ি ফেরেন তিনি। লালমোহন মডেল মসজিদের কাছে পৌঁছালে সানাউল, নাফিজ, শাহিনসহ কয়েকজন অটোরিকশা থামিয়ে তাকে মারধর করে। এক পর্যায়ে তাকে কলেজ রোডের এক বাগানে নিয়ে কয়েক দফা মারধর করে হাত-পা ভেঙে দেয়। অস্ত্র হাতে দিয়ে ছবি তোলে এবং এ অস্ত্র তার বলে স্বীকারোক্তি আদায়ের চেষ্টা চালায়।
হামলাকারী সবাই বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত বলে দাবি করেছেন ভুক্তভোগী খোকন। নাগরিক কমিটির রাজনীতি করার কারণেই তাকে মারধর করার অভিযোগ করেন তিনি। পরিবারের লোকজন খবর পেয়ে মাগরিবের আগমুহূর্তে হামলাকারীদের কবল থেকে তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেন। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাতেই তাঁকে ভোলা সদর হাসপাতালে রেফার করা হয়। আহত খোকনকে হাসপাতালে দেখতে এসে হামলাকারীদের বিচার চেয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) ভোলা সদর উপজেলা প্রতিনিধি কমিটির সদস্য রশিদ আহাম্মদ ও ইয়াছিন আরাফাত। খোকন হাওলাদার বিএনপির রাজনীতি ছেড়ে এনসিপির রাজনীতিতে সক্রিয় হয়েছেন বলে নিশ্চিত করেছেন তারা।
খোকন হাওলাদার জানান, কালমা ইউনিয়নের একটি ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। গত বছরের ৫ আগস্টের পর বিএনপির রাজনীতি ছেড়ে এনসিপির মিছিল-মিটিং করছেন তিনি। এ কারণে তাঁর ওপর হামলা করা হয়। গত ৬ মার্চ একবার মারধর এবং তাঁর ব্যক্তিগত অফিস ভাঙচুর করা হয়।
লালমোহন উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব শফিকুল ইসলাম বাবুলের ভাষ্য, বিএনপির কেউ এ হামলায় জড়িত নন। খোকনের ভাই মাসুদ ওয়ার্ড শ্রমিক লীগের সম্পাদক ও সন্ত্রাসী। বিগত দিনে মাসুদের কর্মকাণ্ডের জেরে মার খেয়েছেন তিনি। এখন বদনাম করার জন্য কারও শেখানো কথায় বিএনপির নামে অপপ্রচার করছেন। খোকন কখনও বিএনপির রাজনীতি করেছেন বলে জানা নেই তার।
লালমোহন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সিরাজুল ইসলাম জানান, খোকন হাওলাদার বিএনপির সাবেক ওয়ার্ড সেক্রেটারি। এনসিপির সদস্য কিনা, সেটা তার জানা নেই। নিজেদের কোন্দলের কারণে এ হামলার ঘটনা ঘটেছে। চিকিৎসার জন্য ভোলায় আছেন তিনি। মামলা দিলে পুলিশ আইনি ব্যবস্থা নেবে।
সূত্র : সমকাল
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।