জুমবাংলা ডেস্ক : ভোক্তা পর্যায়ে পেঁয়াজের দাম কমাতে কী উদ্যোগ নেয়া যায় সে বিষয়ে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের মহাপরিচালক মোহাম্মদ আলীম আখতার খান বলেছেন, ‘ আমাদের দেশীয় উৎপাদন যাতে চাহিদামতো বাড়ানো যায়, সেটি কৃষি বিভাগের সঙ্গে কথা বলে পরিকল্পনা করতে হবে। পাশাপাশি পেঁয়াজ আমদানিতে পঁচে যাওয়া রোধে কীভাবে ব্যবহার উপযোগী পেঁয়াজ আনা যায়, এই সমস্যা নিয়ে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আলোচনা করতে হবে।’
শনিবার (২ নভেম্বর) রাতে চাঁপাইনবাবগঞ্জের সোনামসজিদ স্থলবন্দর পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
এ সময় জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের মহাপরিচালক সোনামসজিদ স্থলবন্দরের পানামা পোর্ট লিংক লিমিটেডের বিভিন্ন ইয়ার্ড পরিদর্শনে আমদানি করা পেঁয়াজের মান যাচাই-বাছাই করেন ও আমদানিকারকদের সঙ্গে কথা বলেন।
এ বিষয়ে করণীয় নিয়ে আমদানিকারকদের সঙ্গে আলোচনা করে মন্ত্রণালয়কে অবহিত করা হবে বলে জানান তিনি।
জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের ডিজি আরও বলেন, ‘ভোক্তাদের যে চাহিদাগুলো রয়েছে, তারমধ্যে পেঁয়াজ অন্যতম। ভোক্তারা পেঁয়াজ কেনার ক্ষেত্রে একটু সমস্যার মধ্যে আছে। যৌক্তিক দামের তুলনায় পেঁয়াজ কিনতে অসুবিধা হচ্ছে। সেক্ষেত্রে আমরা দেখছি, বর্তমানে আমাদের আমদানি করা পণ্যের মধ্যে অন্যতম পেঁয়াজ। সেই পেঁয়াজগুলো কোন পরিস্থিতিতে আসে, কেন আমদানিকারকরা জনসাধারণের নাগালের মধ্যে দাম নিয়ে আসতে পারেন না, কি কি সমস্যা হয়, তা জানার জন্যই সোনামসজিদ স্থলবন্দরে এসেছি।’
মোহাম্মদ আলীম আখতার খান আরও বলেন, ‘সোনামসজিদ স্থলবন্দর পরিদর্শনে এসে দেখলাম কিছু পণ্য আসতে আসতেই নষ্ট হয়ে যায়। এই কারণে পণ্যের দাম বেড়ে যাওয়ার কথা বলছেন আমদানিকারকরা। তাদের দাবি, যে পরিমাণ পণ্য আমদানি করা হয়, তার একটা উল্লেখযোগ্য অংশ ব্যবহারযোগ্য থাকে না। এর ফলে দাম নির্ধারণ করতে গিয়ে পণ্যের মূল্য বেড়ে যায়, যা ভোক্তার ওপর প্রভাব ফেলে।’
তিনি আরও বলেন, ‘মূল্য কীভাবে ভোক্তার অনুকূলে আনা যায়, এ নিয়ে আমরা কথা বলবো। সমস্যা সমাধানে অন্য কোনো ব্যবস্থা নেয়া যায় কী না তা দেখা হচ্ছে।’
ডিজি বলেন, ‘স্থলবন্দরগুলোতে পেঁয়াজের সিন্ডিকেট রয়েছে কী না তা জেলা প্রশাসনের মাধ্যমে জানতে হবে। আপনাদের কাছে এ বিষয়ে কোনো তথ্য থাকলে আমাদের সহযোগিতা করুন।’
পেঁয়াজ আমদানিতে শুল্ক কমানোর বিষয়ে তিনি বলেন, ইতোমধ্যে শুল্ক কমানো হচ্ছে। পাশাপাশি রোববার (৩ নভেম্বর) আমদানিকারক ও ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আলোচনা করে ভোক্তাদের যদি উপকার হয়, তাই করা হবে। ভোক্তাদের দিক বিবেচনায় নিয়ে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের জেলা কার্যালয়ে জনবল সংকট সমাধানের আশ্বাস দেন তিনি।
পরিদর্শনকালে আরও উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. নাকিব হাসান তরফদার, শিবগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আফতাবুজ্জামান-আল-ইমরান, সহকারী কমিশনার (ভূমি) তৌফিক আজিজ, সোনামসজিদ স্থলবন্দর আমদানি-রফতানিকারক গ্রুপের সভাপতি গাজী সালাউদ্দীনসহ স্থলবন্দরের বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তারা।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।