জুমবাংলা ডেস্ক : একটি কার্টুন, একটি চিত্র। ব্যক্তিবিশেষে সাধারণত ব্যঙ্গ করার জন্য অধিকাংশ কার্টুন আঁকা হয়। নেচিবাচক চিত্র তুলে ধরে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের এমন একটি কার্টুন এঁকেছেন কার্টুনিস্ট মেহেদি হক। সেই কার্টুন শেয়ার করেছেন তারেক রহমান নিজেই। তবে তিনি কোনো ক্ষোভ প্রকাশ করেননি, বরং কার্টুন আঁকার স্বাধীনতা ফেরায় উচ্ছাস প্রকাশ করেছেন।
রবিবার তারেক রহমান নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক প্রোফাইলে শেয়ার করেন। যা গত ৭ আগস্ট দুপুরে কার্টুনিস্ট মেহেদি হক নিজের ফেসবুক প্রোফাইলে প্রকাশ করেছিলেন।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারকারীরা বিষয়টির ব্যাপক প্রশংসা করছেন। রীতিমতো প্রশংসায় ভাসছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান। সোশালিস্টরা বলছেন, গণতান্ত্রিক মানসিকতার পরিচয় দিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান।
গত ১৬ বছর ধরে যুক্তরাজ্যে থাকা তারেক রহমান দেশে যোগাযোগ করছে ভার্চুয়াল মাধ্যমে। গত বৃহস্পতিবার বিএনপির সমাবেশে তিনি ভিডিও কনফারেন্সে বক্তৃতা করেন। এতে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়ে বিএনপির তারেক রহমান।
বিষয়টিকে তুলে মেহেদি ফারুকের আঁকা কার্টুনে বোঝানো হয়েছিল ক্ষমতা লিপ্সায় তারেক রহমান ভার্চুয়াল দুনিয়া ছেড়ে বাংলাদেশের দিকে আসছেন।
এই কার্টুন শেয়ার করে তারেক রহমান লিখেছেন, ‘আমি গভীরভাবে আনন্দিত যে বাংলাদেশে রাজনৈতিক কার্টুন আঁকার স্বাধীনতা পুনরুদ্ধার হয়েছে। ২০০৬ সালের আগে, বাংলাদেশি কার্টুনিস্ট, বিশেষ করে শিশির ভট্টাচার্য, প্রায়ই আমার মা এবং আমাকে নিয়ে কার্টুন আঁকতেন। যাই হোক, গত ১৫ বছরে, কার্টুনিস্ট আহমেদ কবির কিশোরকে জোরপূর্বক গুমের শিকার হতে দেখেছি, তার কাজের জন্য অকল্পনীয় নির্যাতন এবং কারাবরণ সহ্য করতে হয়েছে।
আরও অনেকে একই ধরনের নিপীড়নের মুখোমুখি হয়েছেন। শিশির ভট্টাচার্য কার্টুন আঁকা বন্ধ করে দেন। আমি কার্টুনিস্ট মেহেদীর ভক্ত, শিশির ভট্টাচার্যের কাজও উপভোগ করতাম। আন্তরিকভাবে আশা করি, তিনি দ্রুত ও নিয়মিত রাজনৈতিক কার্টুন আঁকবেন।’
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।