সুলতানগঞ্জে নদীবন্দর স্থাপন হলে নাব্যতা রক্ষাকে অগ্রাধিকার দিতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন নৌপরিবহন এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান বিষয়ক উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন।
শুক্রবার (১ আগস্ট) দুপুর ১২টার দিকে রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার সুলতানগঞ্জ নদীবন্দর ও পোর্ট অব কল পরিদর্শন এবং স্থানীয়দের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এ মন্তব্য করেন।
উপদেষ্টা বলেন, “সুলতানগঞ্জে যদি বন্দর স্থাপন হয়, তাহলে নাব্যতা রক্ষা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠবে। যৌথভাবে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হতে পারে। ভারতীয় ব্যবসায়ীদেরও স্বার্থ আছে। তারা চাইবে পণ্য পরিবহনে কোনো বাধা না থাকুক। সে অনুযায়ী ভারত সরকারের পক্ষ থেকেও নাব্যতা রক্ষার উদ্যোগ আশা করা যায়।”
তিনি আরও বলেন, “বন্দর চালুর জন্য এনবিআরের অনুমোদনের পাশাপাশি অবকাঠামো ও রাস্তাঘাট উন্নয়ন জরুরি। সরকারের একাধিক সংস্থার সমন্বয়ে কাজ করতে হবে। সব পক্ষের ইতিবাচক মনোভাব পেলে অচিরেই কার্যক্রম শুরু করা সম্ভব।”
নাব্যতা রক্ষায় চ্যালেঞ্জ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “আমরা আমাদের অংশে ড্রেজিং করতে পারি। কিন্তু যেহেতু পদ্মা একটি আন্তর্জাতিক নদী এবং এর একটি অংশ ভারতের মধ্যে, তাই সে অংশে আমাদের ড্রেজিং করা সম্ভব নয়।
সেক্ষেত্রে ভারতকে অনুরোধ করতে হবে। বর্ষা ও শুষ্ক মৌসুমে পদ্মার পানির পরিমাণ পরিবর্তিত হয়, ফলে নাব্যতা হঠাৎ করেই সংকটে পড়তে পারে।”
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) চেয়ারম্যান কমডোর আরিফ আহমেদ মোস্তফা, রাজশাহী চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি মাসুদুর রহমান রিংকু এবং চাঁপাইনবাবগঞ্জ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি আব্দুল ওয়াহেদ।
পরিদর্শন শেষে উপদেষ্টা ড. সাখাওয়াত হোসেন সুলতানগঞ্জ নদীবন্দর এবং পোর্ট অব কল এলাকার সার্বিক অবস্থা ঘুরে দেখেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।