জুমবাংলা ডেস্ক : ৭ বছর আগে প্রাথমিকভাবে পেঁপে চাষ শুরু করেন আব্দুল মান্নান। গত ২ বছর ধরে বাণিজ্যিকভাবে চাষ শুরু করেন। পেঁপে চাষ করে ভালো লাভবান হচ্ছেন তরুণ এ কৃষি উদ্যোক্তা। তার দেখাদেখি অনেকে এখন পেঁপে চাষে আগ্রহী হচ্ছেন।
আব্দুল মান্নান চট্টগ্রামের মিরসরাই উপজেলার সাহেরখালী ইউনিয়নের সাহেরখালী ভোরের বাজার এলাকার মো. আমির হোসেনের ছেলে। ২০০৩ সালে উপজেলার নিজামপুর সরকারি কলেজ থেকে স্নাতক পাস করে পড়াশোনার ইতি টানেন। এরপর আম চাষের পাশাপাশি পেঁপে চাষ শুরু করেন।
মান্নান এগ্রোতে গিয়ে দেখা গেছে, বাগান থেকে পাকা পেঁপে সংগ্রহ করছেন আব্দুল মান্নান। সবগুলো পেঁপে এক জায়গায় রাখছেন। এরপর সেলস সেন্টার ও বাজারে নিয়ে বিক্রি করবেন। সব গাছে পেঁপে ঝুলছে। ২৮ শতক জায়গার ওপর শতাধিক রেড লেডি পেঁপের ৪ ফুট উচ্চতার প্রতিটি গাছেই ধরেছে পেঁপে। গাছের পরিচর্যা এবং দেখভাল করার জন্য দৈনিক মজুরিতে একজন শ্রমিক রাখা হয়েছে। সবুজ এ ক্ষেত দেখে যে কারো মন মুহূর্তে ভালো হয়ে যাবে।
মান্নান এগ্রোর মালিক আব্দুল মান্নান বলেন, ‘৭ বছর আগে এমনিতে কিছু পেঁপের চারা লাগাই। আমার আমের বাগান আছে। ২ বছর আগে আম গাছের মাঝে খালি জায়গায় দেড়শ রেড লেডি জাতের পেঁপে চারা লাগিয়েছি। কিছু চারা নষ্ট হয়ে গেলেও এখন সফলতা এসেছে। গাছের গোড়া থেকে ২ ফুট ওপর থেকে ফলন আসতে শুরু করে। ঠিকমতো পরিচর্যা করলে প্রতি গাছ থেকে ৩০-৪০ কেজি ফলন আসে।’
তিনি বলেন, ‘প্রতি কেজি পাকা পেঁপে ১০০-১৫০ টাকা করে বিক্রি হয়। প্রতিটি ফল ১ কেজি থেকে ৩ কেজি পর্যন্ত হয়ে থাকে। এ পর্যন্ত ৪০-৫০ হাজার টাকার ফল বিক্রি করা হয়েছে। আরও প্রায় ৬০ হাজার টাকা বিক্রি করা যাবে। এছাড়া ১০-১৫ হাজার টাকার কাঁচা পেঁপে বিক্রি করা হয়েছে। এখন ডেঙ্গু জ্বরের প্রভাবের কারণে পেঁপের বেশ চাহিদা আছে। অনেকে সেলস সেন্টার থেকে কিনে নেন। অনেকে শহর থেকে অগ্রীম অর্ডার দিয়েছেন।’
মিরসরাই উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা প্রতাপ চন্দ্র রায় বলেন, ‘আব্দুল মান্নান উদ্যমী কৃষক। তার খামারে শুধু পেঁপে নয়, বিভিন্ন জাতের আম, ধান, শাক-সবজি আবাদ করা হয়। এবার পেঁপের ভালো ফলন হয়েছে। তার দেখাদেখি অনেক বেকার যুবক আগ্রহী হচ্ছেন।’
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।