জুমবাংলা ডেস্ক : কিশোরগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেন মোল্লা সুমন, তার বড় ভাই মোল্লা বাবুল ও
ভাগ্নে নাজমুল হোসেন হীরার বিরুদ্ধে পর্নগ্রাফি আইনে আদালতে মামলা করেছেন এক নারী।
রোববার কিশোরগঞ্জ সদর আদালত নং-১ এ মামলাটি দায়ের করেন ওই নারী। পরে, আদালতের আমলগ্রহণকারী সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আশিকুর রহমান কিশোরগঞ্জ মডেল থানার পুলিশকে তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মামলার বাদী পক্ষের আইনজীবী জসিম উদিন।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, গত বছরের ১৫ মার্চ জেলা ছাত্রলীগ সভাপতির ভাগ্নে ভুক্তভুগী ওই নারীর এক বান্ধরীর বাসায় বিয়ের প্রলোভনে শারীরির সম্পর্ক করে। এসময় তা মোবাইল ফোনে ভিডিও করে রাখে।
পরে ওই ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে অভিযুক্ত তিনজন কয়েক লাখ টাকা, মোটরসাইকেল ও দামি মোবাইল ফোন আদায় করে ওই নারীর কাছ থেকে।
সম্প্রতি ওই ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে মামলা করেন ভুক্তভুগী নারী।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেন মোল্লা সুমন বলেন, ‘এ ঘটনায় আমার কোনো সম্পৃক্ততা নেই। একটি মহল রাজনৈতিক প্রতিহিংসায় আমার এবং আমার বড় ভাইয়ের বিরুদ্ধে এসব অপতৎপরতায় লিপ্ত হয়েছে। আমি যতটুকু জানি আমার ভাগ্নে ওই নারীকে বিয়ে করেছিল।’
কিশোরগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম মোস্তফা বলেন, ‘আদালতের নির্দেশের কপি এখনো হাতে পাইনি। কপি পেলে নির্দেশ অনুযায়ী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।