জুমবাংলা ডেস্ক : নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে পুলিশ ও জনতার মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ শর্টগানের গুলি ও টিয়ারশেল নিক্ষেপ করেছে। এতে অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন।
সোমবার (১৩ জুন) সকালে সিদ্ধিরগঞ্জের আদমজী বিহারী কলোনিতে ঘটে এ ঘটনা।
জানা গেছে, শুক্রবার (১০ জুন) জুমার নামাজের সময় আদমজী শাহী মসজিদে ভারতে মহানবিকে নিয়ে কটূক্তির কথার প্রতিবাদে ইমামের বক্তব্য দেওয়াকে কেন্দ্র করে ঘটনার সূত্রপাত। ইমামের বক্তব্য চলাকালে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সৈয়দ আজিজুল হক তাকে থামিয়ে বলেন- ভারতের ঘটনা ভারতে থাকুক, এখানে আমরা কোনা বিশৃঙ্খলা যেন না করি। এ সময় উপস্থিত মুসুল্লিরা ক্ষুব্ধ হয়ে তাকে মসজিদের ভেতরে মারধর করেন। পরে স্থানীয় মসজিদ কমিটির সভাপতি জয়নাল আবেদীনের বাসায় তাকে আশ্রয় দিলে সেখানে তাকে আবারও মারধর করা হয়।
এক পর্যায়ে স্থানীয় কাউন্সিলর মতিউর রহমান মতি ও সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মশিউর রহমান সেখানে গিয়ে জনতাকে নিবৃত করে এসআই সৈয়দ আজিজুল হককে উদ্ধার করে নিয়ে আসেন। এরপর তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এ ঘটনায় শনিবার (১১ জুন) সিদ্ধিরগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মির্জা শহিদুল ইসলাম বাদী হয়ে ৫০ জনের নাম উল্লেখ করে আরও ১২৫ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে মামলা দায়ের করেন। এই মামলায় রোববার দিবাগত রাতে ৩১ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।এরপর গ্রেপ্তারদের মুক্তির দাবিতে সকালে থানা ঘেরাও করতে গেলে জনতার সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়। এতে ২০ জন আহত হয়েছেন।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে র্যাব-পুলিশ যৌথভাবে অভিযান চালায়। এ সময় র্যাব-পুলিশকে লক্ষ্য করে বৃষ্টির মতো ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে স্থানীয় জনতা।
এ বিষয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মশিউর রহমান জানান, এখন পর্যন্ত ৩১ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদেরকে আদালতে পাঠানো হয়েছে। সকালের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে অর্ধশতাধিক রাউন্ড টিয়ারশেল ও শর্টগানের শতাধিক গুলি করা হয়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।