জুমবাংলা ডেস্ক : ময়মনসিংহে গৌরীপুরে চরাঞ্চলে আসামি ধরতে গিয়ে থানার তিন এসআইসহ ছয় পুলিশ কর্মকর্তা এলাকাবাসীর হাতে বেধড়ক মারধরের শিকার হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার দিবাগত মধ্যরাতে এই ঘটনা ঘটে। শুক্রবার বিকেলে গৌরীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল হালিম খান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
আহত পুলিশ সদস্যদের মধ্যে ৫ জনকে গৌরীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে এবং এএসআই মোস্তাককে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।
আহত পুলিশ কর্মকর্তারা হলেন, এসআই শফিক আহমেদ, এসআই এমদাদ, এসআই আওলাদ হোসেন, এএসআই কামরুল ইসলাম, এএসআই মোস্তাক আহমেদ ও এএসআই মিজানুর রহমান।
ওসি আব্দুল হালিম সিদ্দিকী জানান, গৌরীপুর উপজেলার ভাংনামারী ইউনিয়নের প্রত্যন্ত চরাঞ্চলের চর ভাবখালিতে বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে ৬ পুলিশ সদস্য সাদা পোষাকে ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি ধরতে যায়। এ সময় গ্রামের একটি ঘরে বেশ কয়েকজন ব্যক্তিকে জুয়া খেলতে দেখতে পায় পুলিশ। তখন ছয়-সাতজন জুয়াড়িকে আটক করে নাম-পরিচয় শনাক্তের চেষ্টা করছিলো তারা।
তিনি বলেন, এ সময় জুয়াড়িরা ডাকাত ডাকাত বলে চিৎকার শুরু করে। এক পর্যায়ে মাইক দিয়ে বিভ্রান্তিমূলক কথাবার্তা প্রচার করে লোকজন জড়ো করতে থাকে এলাকাবাসী। পরে স্থানীয়রা সত্য-মিথ্যা যাচাই না করেই লাঠিসোটা নিয়ে ওই পুলিশ সদস্যেদের ওপর হামলা চালায়। তাদের হামলায় ছয় পুলিশ কর্মকর্তা আহত হন।
এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কেউ আটক হয়নি তবে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলে জানান ওসি।
স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের ৯ নং ওয়ার্ডের সদস্য ইজ্জত আলী জানান, গত ৩০ মার্চ ব্রহ্মপুত্র নদে বালু উত্তোলনকে কেন্দ্র করে চর ভাবখালীর শ্রমিকদের সাথে উজান কাশিয়ারচর এলাকার শ্রমিকদের দ্বন্দ্ব চলছিলো। এ নিয়ে দু’পক্ষের মাঝে উত্তেজনা বিরাজ করছিলো। ঘটনার দিন রাতে চর ভাবখালীর নদ ঘাটের তীরে একটি দোকানে বসে তাস দিয়ে জুয়া খেলছিলো কয়েকজন জুয়াড়ি। এ সময় হঠাৎ সাদা পোষাকে পুলিশ অভিযান চালালে গ্রামের লোকজন চিৎকার করে হট্টগোল শুরু করে।
তিনি আরও জানান, এতে স্থানীয় বালু শ্রমিকরা মনে করে যে পূর্বের মারামারির জের ধরে প্রতিপক্ষ উজান কাশিয়ার চরের লোকজন তাদের উপর হামলা করতে এসেছে। পরে এলাকাবাসী মাইকে ডাকাত বলে ঘোষণা দিয়ে এলাকার লোকজন একত্রিত করে প্রতিপক্ষ ভেবে সাদা পোষাকের পুলিশের উপর হামলা চালায়। এলোপাথাড়ি মারপিটে ওই পুলিশ সদস্যরা আহত হন।
এ ব্যাপারে পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আহমারউজ্জামান জানান, বিষয়টি পুলিশ গুরুত্বের সাথে দেখছে। পুলিশ এ ব্যাপারে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।