জুমবাংলা ডেস্ক : আলু, পেঁয়াজ ও ডিমের দাম বৃদ্ধিতে জনমনে অসন্তোষ রয়েছে সেই কথা স্বীকার করে খুব দ্রুতই এটির সমাধান মিলবে বলে আশ্বস্ত করেছেন কৃষিমন্ত্রী ড. আবদুর রাজ্জাক।
শনিবার সকাল ১১টার দিকে ২৩ বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউর আওয়ামী লীগের প্রধান কার্যালয়ে নির্বাচনি ইশতেহার কমিটির সভা শুরুর আগে কমিটির আহ্বায়ক ও দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কৃষিমন্ত্রী ড. আবদুর রাজ্জাক সাংবাদিকদের এমন কথা জানান।
রাজ্জাক বলেন, “সেই একই কথা মুদ্রাস্ফিতি। মুদ্রাস্ফীতি মানে, খাদ্য মুদ্রাস্ফীতি। আলুর দাম অনেকটা বেশি, পিয়াজের দাম বেশি, ডিমের দাম বেশি। এই নিয়ে জনমনে বিক্ষাভ রয়েছে। আমরা মনে করি এটা খুবই সাময়িক। খুব দ্রুতই এটি আমাদের..।”
“আলু,পিয়াজ নিয়ে তো কোন সমস্যা থাকবেই না। ডিমের দামও আমাদের যে প্রযুক্তি রয়েছে দেশের পোল্ট্রি ফার্ম গড়ে উঠেছে, এগুলোর উৎপাদন পূর্ব অবস্থায় আসলে ইনশাল্লাহ এটিও ঠিক হয়ে যাবে আশা করা যায়।” বলেন তিনি।
দ্রব্যমূল্যের দাম সহনশীল করতে আওয়ামী লীগ সরকার আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে উল্লেখ করে কৃষিমন্ত্রী বলেন, “আমরা আপ্রাণ চেষ্টা করছি খাদ্য মুদ্রাস্ফিতি বা খাদ্যের দাম সহনশীল অবস্থায় নিয়ে আসার জন্যে। বিশেষ করে গরীব,দু:খী মানুষ,স্বল্প আয়ের মানুষ,সীমিত আয়ের মানুষ তাদের বিষয়টি আমরা বিচেনায় রেখে কাজ করছি। বিশেষ করে বস্তিবাসী,রিকসাওয়ালা,ভ্যানওয়ালা..তারা যেন.. দ্রব্যমূল্য যেন সহনশীল অবস্থায় থাকে।
সেগুলোও আমরা নির্বাচনে ইশতেহারে যুক্ত করবো।”
এসময় অন্যান্যের মধ্যে কমিটির সদস্য সচিব ও দলের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক ড. সেলিম মাহমুদ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অর্থনৈতিক বিষয়ক উপদেষ্টা ড.মসিউর রহমান, অধ্যাপক সাদেকা হালিম, সাজ্জাদুল হাসান এমপি, ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া উপস্থিত ছিলেন।
বক্তব্যের শুরুতেই সাংবাদিকদের সামনে এসে আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলের সদস্য ড. আব্দুর রাজ্জাক সকল জাতীয় নির্বাচনের আগেই আওয়ামী লীগ জাতির আশা আকাঙ্খ পূরণের লক্ষ্যে তাদের প্রতিশ্রুতি প্রণয়ন করে থাকে বলে জানান।
সেখানে অতীতের সাফল্য ও ব্যর্থতার বিষয়গুলো তুলে ধরা হয় সেই কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, “সেই আলোকে সকল নির্বাচনের আগেই আমরা নতুন নির্বাচনি ইশতেহার প্রণয়ন করি।”
এবারও আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে নির্বাচনের ইশতেহার প্রনয়নের জন্য ইতিমধ্যেই কমিটি করা হয়েছে এবং গত নির্বাচনের ইশতেহারের বিভিন্ন দিকের কথা তুলে ধরার পাশাপাশি সেটা বাস্তবায়নের নানা চ্যালেঞ্জ নিয়েও কথা বলেন দলটির সভাপতিমনডলির সদস্য আবদুর রাজ্জাক।
করোনা ভাইরাস মহামারি এবং পরবর্তীতে ইউক্রেন ও রাশিয়া যুদ্ধ দেশের অর্থনীতিতে বিরুপ প্রভাব ফেলেছে সেই কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, “সেই আঘাতের কারণে আমাদের প্রবৃদ্ধির যেই লক্ষ্য মাত্রা ছিল সেটি অর্জন করা সম্ভব হয়নি এবং আমাদের অর্থনীতিও নানা করনে টানাপোড়নের মধ্যে যাচ্ছে। অনেক প্রতিকূল পরিবেশ সৃষ্টি হচ্ছে। বিশেষ করে আন্তর্জাতিক বাজারে প্রাথমিক পণ্য যেমন জ্বালানির দাম অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে এবং এর ফলে আমাদের মুদ্রা সরবরাহের ক্ষেত্রে প্রভাব পড়েছে। ”
“সেগুলো মোকাবেলা করেই দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। আমরা এর মধ্যেও ৬ ভাগের মতোন প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছি।যেটি আমাদের লক্ষ্যমাত্রা ছিল যে ৮ ভাগকে আমরা ছাড়িয়ে যাবো। সেটি সম্ভব হয়নি। এই অবস্থায় অর্থনীতি কেন্দ্রিক আমাদের মনে হচ্ছে যে কিছু সময় লাগতে পারে।” বলেন তিনি।
ইউক্রেন রাশিয়া যুদ্ধ এই মুহুর্তে বন্ধের কোন সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে না এবং এই যুদ্ধ খাদ্য দ্রব্যের দাম ও জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধিতে যে প্রভাব ফেলছে সেটিও উল্লেখ করেন কৃষিমন্ত্রী।
তিনি বলেন, “এই বিষয়গুলো বিবেচনায় রেখেই আগামী নির্বাচনি ইশতেহার প্রনয়ন করতে হবে। একটি হলো যে সামষ্ঠিক অর্থনীতি, তার লক্ষ্য মাত্রা কি হবে, সেটি অর্জনের কৌশল কি হবে আমাদের এবং কি কি পদক্ষেপ আমরা গ্রহন করবো। আরেকটি হলো যে মাইক্রো ইকোনমি,ভোক্তা পর্যায়ে দ্রব্যমূল্যের দাম, মুদ্রাস্ফিতি আমরা কিভাবে মোকাবেলা করবো।”
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।