জুমবাংলা ডেস্ক : প্রেমের বিয়ে পরিবার মেনে না নেয়ায় অভিমানে রহিমা খাতুন মুক্তা (২০) নামে এক কলেজছাত্রী আত্মহত্যা করেছেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সুধারাম মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মীর জায়েদুল হক রনি।
শনিবার রাতে অভিমানে নোয়াখালী শহরের বার্লিংটন এলাকার নিজ ঘরে গলায় ফাঁস নিয়ে আত্মহত্যা করেন তিনি। রহিমা খাতুন মুক্তা নোয়াখালী পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের মাইজদী বার্লিংটন মোড় সেন্ট্রাল রোডের বাসিন্দা আনিসুল হকের মেয়ে এবং নোয়াখালী মহিলা কলেজের ডিগ্রি প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী।
জানা যায়, লক্ষ্মীপুরের ইব্রাহীম হৃদয়ের (২৪) সঙ্গে মুঠোফোনে পরিচয় থেকে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে নোয়াখালীর রহিমা খাতুন মুক্তার। প্রেমের সম্পর্কের জেরে ২০২২ সালে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন তারা। কিন্তু শ্বশুরবাড়িতে ঠাঁই মেলেনি রহিমার। মেলেনি সামাজিক ও পারিবারিক স্বীকৃতি। সে থেকেই হতাশাতে থাকতেন রহিমা খাতুন মুক্তা।
স্থানীয় বাসিন্দা শাহাদাত হোসেন বলেন, মেয়েটির সঙ্গে ইব্রাহীম হৃদয়ের মুঠোফোনে সম্পর্ক হয়। দীর্ঘদিনের সম্পর্কের পরিণতিতে ২০২২ সালে বিয়ে করেন তারা। কিন্তু ইব্রাহীমের পরিবার মেনে না নেওয়ায় শাশুড়ির সঙ্গে প্রায় মনোমালিন্য হতো রহিমার। এসব নিয়ে অভিমানে গলায় ফাঁস নিয়ে আত্মহত্যা করেন রহিমা।
হোটেল রুমে ৪ ঘণ্টা কী করেছিলেন জায়েদ ও সায়ন্তিকা? জানতে চান প্রযোজক
সুধারাম মডেল থানার (ওসি) মো. মীর জায়েদুল হক রনি বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়েছে। আমরা শুনেছি মেয়ের সঙ্গে শাশুড়ির কথা কাটাকাটি হয়েছে। ফলে অভিমানে গলায় ফাঁস দিয়েছে। আমরা অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।