আন্তর্জাতিক ডেস্ক : সরকার গঠনের মাস চারেক না যেতেই পাকিস্তানের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে রাখতে হিমশিম খাচ্ছে শেহবাজ শরীফের নেতৃত্বাধীন সরকার। এবার সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর বিরুদ্ধে সামরিক অভিযানের ঘোষণা দিয়েছে তার সরকার৷
অভিযান শুরুর আগে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে বোঝাপড়া এবং করণীয় ঠিক করতে সর্বদলীয় সভার আয়োজন করবে শেহবাজ শরীফ। ওই সভায় যোগ দেওয়ার কথা জানিয়েছে পিটিআই প্রতিষ্ঠাতা ইমরান খান।
২০০২ সালের পর থেকে ইসলামিক বিভিন্ন সশস্ত্রগোষ্ঠীগুলোর বিরুদ্ধে এক ডজনেরও বেশি সামরিক অভিযান পরিচালনা করেছে পাকিস্তানের বিভিন্ন সরকার।
সর্বশেষ ‘অপারেশন রাদ্দ-উল-ফাসাদ’ নামে ২০১৭ সাল থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত বিশেষ সামরিক অভিযান চালিয়েছিল পাকিস্তান।
এখন প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরীফের সরকার নতুন যে সামরিক অভিযানের কথা বলছে, তার নাম দেওয়া হয়েছে ‘আযম-ই-ইসতেহকাম’। উর্দুভাষায় এই শব্দের প্রচলিত অর্থ হচ্ছে স্থিতিশীলতা৷ আলোচিত এই সামরিক অভিযান কতদিন ধরে তা নিশ্চিত করেনি দেশটির কর্তৃপক্ষ।
সামরিক অভিযান শুরুর আগেই এর বিপক্ষে দাঁড়িয়েছেন জেলবন্দি সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। গত সপ্তাহে ইমরান জানিয়েছেন যে উত্তর-পশ্চিমাঞ্চল এবং দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে সামরিক অভিযানের বিপক্ষে তিনি৷ এরপরও এই অভিযান সম্পর্কে শেহবাজ শরীফ সরকারের সর্বদলীয় সভায় অংশ নেওয়ার কথা জানিয়েছেন ইমরান।
আদিয়ালা কারাগার থেকে সাংবাদিকদের ইমরান বলেন, ‘আমার দল সর্বদলীয় সম্মেলনে অংশগ্রহণ করবে এবং সরকার কী বলে তা শুনবে’।
পিটিআই প্রতিষ্ঠাতা হুশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, সন্ত্রাস বিরোধী পদক্ষেপ দেশকে আরও অস্থিতিশীলতার দিকে নিয়ে যাবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।