জুমবাংলা ডেস্ক : রাজশাহীর অন্যতম শীর্ষ সন্ত্রাসী ও গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অন্দোলনে প্রকাশ্যে গুলি চালানো হোসেন আলীকে গ্রেপ্তারের দাবি উঠেছে। একই সঙ্গে হোসেনের আশ্রয়দাতা কালু তানজীরকেও গ্রেপ্তারের দাবি করেছেন মেসার্স শাহরিন এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী মাহমুদ হাসান শিশিল। তার দাবি, জামিনে মুক্ত হয়ে প্রকাশ্যে চলাফেরা করছেন হোসেন এবং ২০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেছেন তার কাছে।
সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) রাজশাহী প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে মাহমুদ হাসান বলেন, ‘নগরীর চণ্ডীপুর এলাকার সুলতান আলীর ছেলে ও আমার সাবেক কর্মচারী হোসেন আলী আমার প্রতিষ্ঠানে ১০ হাজার টাকা বেতনে কর্মরত ছিলেন।
তিনি যুবলীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত এবং কুখ্যাত সন্ত্রাসী রুবেলের ঘনিষ্ঠ সহযোগী। কর্মরত অবস্থায় হোসেন আলী একাধিকবার রুবেলকে নিয়ে আমার কাছে এসে ৫০ হাজার থেকে ১ লাখ টাকা পর্যন্ত চাঁদা দাবি করেন। তার ক্রমাগত চাঁদাবাজি ও অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার কারণে আমি তাকে চাকরি থেকে অব্যাহতি দিই।’
তিনি বলেন, ‘গত ৫ আগস্ট রাজশাহীতে ছাত্র-জনতার মিছিলে হামলার সময় হোসেন আলীকে দুই হাতে আগ্নেয়াস্ত্রসহ গুলি ছুড়তে দেখা যায়, যা বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রচারিত হয়েছে।
পরবর্তীতে গত ১০ আগস্ট রাত সাড়ে ৯টায় রেলগেট এলাকায় ট্রাফিক দায়িত্ব পালনরত শিক্ষার্থীরা একটি প্রাইভেট কার তল্লাশি করে হোসেন আলীকে দুই বস্তা দেশীয় ধারালো অস্ত্র, মাদকদ্রব্য ও নগদ অর্থসহ আটক করে এবং সেনাবাহিনী ও বিজিবির কাছে হস্তান্তর করে। কিন্তু অত্যন্ত দুঃখজনক এতো গুরুতর অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে সাথে যুক্ত থাকা সত্ত্বেও তিনি জামিনে মুক্ত হয়ে প্রকাশ্যে চলাফেরা করছেন। জামিনে মুক্ত হয়ে হোসেন আলী পুনরায় আমাকে হুমকি দিচ্ছে এবং ২০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। এ ছাড়া তিনি স্থানীয় যুবদলের কতিপয় নেতাকর্মী ও পুলিশ প্রশাসনের দুর্নীতিগ্রস্ত একটি অংশ এবং আওয়ামীপন্থী কিছু সাংবাদিকের সহায়তায় সে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অপবাদ রটাচ্ছেন।’
তিনি জানান, ‘গত ২২ ফেব্রুয়ারি তিনি ফটো জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশন কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে আমার বিরুদ্ধে ভিত্তিহীন অভিযোগ উত্থাপন করেন। প্রশাসনের কাছে আমার প্রশ্ন অস্ত্র ও মাদকসহ হাতেনাতে আটক এবং আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার করে গুলি ছোড়ার সুস্পষ্ট প্রমাণ থাকার পরও কেন হোসেনের মতো একজন অপরাধীর বিরুদ্ধে কার্যকর আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না?’
সংবাদ সম্মেলনে তিনি হোসেন আলীর আশ্রয়দাতা নগরীর ভেড়ীপাড়া এলাকার জুয়াড়ী ইবনে ফাহাদ তানজীর ওরফে কালু তানজীরকে দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়ে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী মহানগর যুবদলের দপ্তর সম্পাদক শফিক মাহমুদ তন্ময়, নিউ গভার্মেন্ট ডিগ্রী কলেজের সদস্য সচিব মাহমুদ হাসান লিমন, শাহমুখদুম থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক শরিফুল হাসান পরাগ, শাহরিন এন্টারপ্রাইজের ম্যানেজার তন্ময় হোসেন, শাহরিন এন্টারপ্রাইজের সাবেক ম্যানেজার নাজির হোসেন জীবন, সাইর পুকুর প্রজেক্টের পূর্বের মালিক আনোয়ার হোসেন, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মো. বাপ্পি, সাইর পুকুর প্রোজেক্ট ম্যানেজার নাজমুল হাসান রকি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।