লাইফস্টাইল ডেস্ক : শীতের মৌসুমে সুস্থ থাকতে শরীরচর্চার বিকল্প নেই। জিমে না গিয়ে বা খুব বেশি কায়িক পরিশ্রম হয় এমন কোনো ব্যায়াম না করে কোনো ব্যায়াম বেছে নিতে পারেন?
নভেম্বর থেকেই একটু একটু ঠান্ডা পড়তে শুরু করেছে। এমতাবস্থায় বদল আসছে প্রাত্যহিক জীবনধারায়। যেমন : আলমারি থেকে বেরিয়ে আসতে শুরু করেছে গরম পোশাক। এমনকি ডায়েট চার্ট কিংবা খাবারের তালিকায়ও আসছে পরিবর্তন। তবে অনেকে আছেন একটু বেশিই শীতকাতুরে। শীত পড়েছে মানেই তাদের শরীরে ধরা দেবে আলস্য। মন চাইবে না ব্যায়ামের (Exercise) পথে যেতে। সারা বছরের শরীরচর্চার অভ্যাস এ সময় যেন হারিয়েই যায়। আর বাহানা একটাই, ‘প্রচণ্ড শীত’! অথচ ব্যায়াম করার খুব ভালো সময় এটা। ব্যায়ামে শীতের জড়তা, আলসেমি কেটে যায়, কাজকর্মেও গতি ফিরে আসে। শীতকালে সর্দি-কাশি, ঠান্ডা লাগার সমস্যা সবচেয়ে বেশি দেখা দেয়। আর সুস্থ থাকতে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে শরীরচর্চা খুবই জরুরি।
বিশেষজ্ঞদের ভাষ্য- সারা বছরই ব্যায়াম (Exercise) করা উচিত। তাহলেই ভালো থাকবে শরীর। আর শীতের মৌসুমে সুস্থ থাকতে শরীরচর্চার বিকল্প নেই। কিন্তু উপায়? জিমে না গিয়ে বা খুব বেশি কায়িক পরিশ্রম হয় এমন কোনো ব্যায়াম না করে যেগুলো কম পরিশ্রম হয় সেগুলো বেছে নিতে পারেন। পাশাপাশি ব্যায়াম করার সময় কয়েকটি বিষয়ে অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে।
শীতের সকাল কিংবা সন্ধ্যায় ব্যায়ামের সময় ফুলহাতা জার্সি পরে নিন। সঙ্গে ঢিলেঢালা ট্রাউজার। পায়ে পরতে হবে ব্যায়ামের জন্য উপযুক্ত কেডস। ব্যায়ামের সময় সঙ্গে তোয়ালে রাখতে পারেন। বেশি ঘাম ঝরলে মুছে ফেলুন। ব্যায়াম করায় শরীর থেকে ঘামের সঙ্গে পানি বেরিয়ে যায়। তাই পর্যাপ্ত পানি পান করতে হবে। প্রতিদিন সকাল কিংবা সন্ধ্যায় টানা ২০ থেকে ৩০ মিনিট করে জোরে হাঁটুন, যেন ঘাম ঝরে শরীর থেকে। হাঁটা বা দৌড়ানোর পরে কিছুক্ষণ স্ট্রেচিং করা অত্যন্ত প্রয়োজন। শরীরচর্চার আগে স্ট্রেচিং করলে আপনার পেশি চোট-আঘাতের কবল থেকে দূরে থাকে। বাড়তি ওজন ঝরানোর ক্ষেত্রেও স্ট্রেচিং খুবই কার্যকর হতে পারে। শরীর সুস্থ রাখতে আর মেদ ঝরাতে সাইক্লিং খুব ভালো ব্যায়াম। দড়িলাফও (স্কিপিং রোপ বা জাম্প রোপ) করতে পারেন।
আর শীতের সময় বাইরে না গিয়ে বাড়িতেই কিছু ব্যায়াম করতে পারেন। সাধারণত তিন ধরনের ব্যায়াম করা হয়ে থাকে- প্রথমে জয়েন্ট স্ট্রেচিং, দ্বিতীয় ভাগে মাসকুলার ও একেবারে শেষে কার্ডিওভাসকুলার। কিন্তু শীতে এ ব্যায়ামের ধারাটা ভিন্ন। এ ক্ষেত্রে প্রথমে কার্ডিওভাসকুলার, দ্বিতীয় ভাগে মাসকুলার ও শেষে জয়েন্ট স্ট্রেচিং করতে হয়। কারণ, শীতে ওয়ার্মআপ করা কঠিন হয়ে যায়। তাই কার্ডিওভাসকুলার দিয়েই ব্যায়াম শুরু করতে হয়।
* কার্ডিওভাসকুলার ব্যায়ামের মধ্যে রয়েছে হাঁটা, দৌড়ানো, স্কিপিং, সাইক্লিং ইত্যাদি।
* মাসকুলার ব্যায়ামের মধ্যে রয়েছে বুকডন, ওঠাবসা। যারা জিমে যাচ্ছেন, তারা ডাম্বেল বা ভারী জিনিস তুলবেন।
* স্ট্রেচিংয়ের মধ্যে পড়ে বিভিন্ন ধরনের ইয়োগা বা যোগব্যায়াম। তন্মধ্যে উপকারী হবে সূর্যপ্রণাম, প্রাণায়ম ও ধ্যান।
বায়ুদূষণে আজ দ্বিতীয় স্থানে ঢাকা, ৮ এলাকার বাতাস ‘ঝুঁকিপূর্ণ’
যারা জগিংয়ে অভ্যস্ত তারা ঘরে বসেই স্পট জগিং ও অ্যারোবিকস করতে পারেন। শীতের সময় যারা দৌড়াতে বা হাঁটতে পারবেন না তাঁরা শরীরে ঘাম ঝরানোর জন্য ব্যাডমিন্টন, বাস্কেটবল বা টেবিলটেনিসের মতো ইনডোর গেম খেলতে পারেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।