আন্তর্জাতিক ডেস্ক : শব্দের পাঁচ গুণ গতির উড়োজাহাজ! মার্কিন স্টার্টআপ সংস্থা ‘হার্মিয়াস’ হাইপারসোনিক যাত্রীবাহী বিমানের সফল প্রোটোটাইপ পরীক্ষা সম্পন্ন করেছে। এই প্রকল্প সফল হলে, যুক্তরাষ্ট্রের বিখ্যাত প্রতিরক্ষা সংস্থা ‘লকহিড মার্টিন’-কেও পিছনে ফেলার সম্ভাবনা রয়েছে।
Table of Contents
দ্রুতগামী উড়োজাহাজের পথে এগোচ্ছে হার্মিয়াস
চলতি বছরের জানুয়ারিতে আমেরিকার এডওয়ার্ডস বায়ুসেনা ঘাঁটিতে এই বিমানটির পরীক্ষা চালানো হয়। ‘কোয়ার্টারহর্স এমকে ১’ নামের এই প্রোটোটাইপ সফলভাবে উড়তে সক্ষম হয়েছে বলে দাবি করেছে হার্মিয়াস। সংস্থার সহ-প্রতিষ্ঠাতা ও সিইও এজে পিপলিকা বলেন, “হাইপারসোনিক প্রযুক্তি এতদিন শুধু সামরিক খাতে ব্যবহৃত হতো। এবার তা সাধারণ মানুষের জন্য আনতে চাই।”
মাত্র ২০৪ দিনে নকশা তৈরি!
২০৪ দিনের মধ্যে হাইপারসোনিক বিমানের নকশা সম্পন্ন করেছে হার্মিয়াস। দ্রুতগতির কারণে এর নকশা কিছুটা ইংরেজি ‘U’ অক্ষরের মতো। তবে এটিকে যাত্রীবাহী বিমান হিসেবে চালু করতে আরও কিছু পরীক্ষা প্রয়োজন। এজন্য যুক্তরাষ্ট্রের প্রশাসনের অনুমতি চাইছে প্রতিষ্ঠানটি।
চ্যালেঞ্জ কোথায়?
হার্মিয়াস শুধু ট্যাক্সি টেস্টের অনুমতি পেয়েছিল, তবে এর গতি নির্ধারিত মাত্রা অতিক্রম করেছে। যাত্রীবাহী উড়োজাহাজে রূপান্তরের ক্ষেত্রে বড় চ্যালেঞ্জ হল অবতরণকালীন ঘর্ষণজনিত সমস্যা। প্রতিষ্ঠানটির সভাপতি স্কাইলার শুফোর্ড জানিয়েছেন, উচ্চ গতির কারণে অবতরণের সময় সমস্যার সৃষ্টি হতে পারে, তাই নকশায় পরিবর্তন আনার প্রয়োজন হতে পারে।
পরবর্তী ধাপ
‘কোয়ার্টারহর্স’-এর দ্বিতীয় সংস্করণ তৈরির কাজ ইতিমধ্যে আটলান্টার কারখানায় শুরু হয়েছে, যা এ বছরের মাঝামাঝি শেষ হবে। জানুয়ারির সফল পরীক্ষার পর প্রকল্পের গতি আরও বেড়েছে।
প্রতিযোগিতায় অন্য সংস্থাগুলো
হার্মিয়াস একমাত্র সংস্থা নয়, ‘ভেনাস অ্যারোস্পেস’-ও একই ধরনের বিমানের পরিকল্পনা করেছে। তবে ২০২৫ সালে তাদের পরীক্ষামূলক উড্ডয়ন হওয়ার কথা থাকলেও তা এখনও হয়নি। অন্যদিকে, ‘লকহিড মার্টিন’ বিশ্বের দ্রুততম যুদ্ধবিমান ‘এসআর-৭২ ডার্কস্টার’ তৈরির পরিকল্পনা করেছে, যার গতিবেগ হবে ঘণ্টায় ৬,৪৩৭ কিলোমিটার।
প্রতিযোগিতায় চীনও পিছিয়ে নেই
চীনের প্রতিরক্ষা গবেষকরা ইতিমধ্যে গোবি মরুভূমিতে হাইপারসোনিক বিমানের পরীক্ষা চালিয়েছে। তাদের দাবি, এটি মাত্র দুই ঘণ্টায় নিউ ইয়র্ক পৌঁছতে সক্ষম। তবে এটি যাত্রীবাহী হবে নাকি সামরিক কাজে ব্যবহৃত হবে, তা স্পষ্ট নয়।
ভবিষ্যতের দৌড়ে আমেরিকা কতদূর?
হাইপারসোনিক বিমান প্রযুক্তিতে আমেরিকা উল্লেখযোগ্য সাফল্য অর্জন করেছে। ‘কোয়ার্টারহর্স’-এর ইঞ্জিন ভবিষ্যতে যুদ্ধবিমানেও ব্যবহার করা হতে পারে। এখন দেখার বিষয়, আকাশ দখলের প্রতিযোগিতায় যুক্তরাষ্ট্র চীনকে টপকাতে পারে কি না।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।