লাইফস্টাইল ডেস্ক : সাধারণত ভাদ্র এবং মাঘ মাসে ক্যাপসিকাম চাষ করা হয়। যদিও অনেকের মতে, ক্যাপসিকাম চাষের নির্দিষ্ট কোনো সময় নেই। রকমারি রান্নাতে ক্যাপসিকাম একটি গুরুত্বপূর্ণ সবজি। মাংস থেকে আরম্ভ করে নিরামিষ বিভিন্ন রকম পদ তৈরিতে ক্যাপসিকাম ব্যবহার করা হয়।
তবে এই সবজিটির বাজার দর যথেষ্ট। তাই বাজারের উপর ভরসা না করে যদি সহজেই এই সবজিটি বাড়িতে টবে চাষ করা হয় তাহলে অনেকটাই সাশ্রয় হয়। আজকের এই প্রতিবেদনে ক্যাপসিকাম চাষের বেশ কয়েকটি সহজ টিপস শেয়ার করা হল।
সাধারণত ভাদ্র এবং মাঘ মাসে এই সবজিটি চাষ করা হয়। যদিও অনেকের মতে ক্যাপসিকাম চাষের নির্দিষ্ট কোনো সময় নেই। উপযুক্ত পদ্ধতিতে চাষ করতে পারলে যে কোনো সময় ভালো ফলন পাওয়া যায়। ক্যাপসিকাম চাষের জন্য প্রথমেই নার্সারি থেকে ভালো মানের বীজ কিনে এনে সেই বীজগুলি গোটা রাত ভালোভাবে জলে ভিজিয়ে রাখতে হবে।
বীজ পোঁতার আগে ক্যাপসিকাম চাষের জন্য উপযুক্ত মাটি তৈরি করে নেওয়া খুবই দরকারি। সাধারণত বেলে মাটি বা দোআঁশ মাটিতে ক্যাপসিকাম ভালো হয়। ফলন বেশি পাওয়ার জন্য উপযুক্ত মাটি তৈরি করা বাঞ্ছনীয়। চাষ করার আগে মাটি ঝুরঝুরে করে নিতে হবে, যাতে কোনো মাটিতে ঢেলা বা ইট না থাকে। এরপর আগে থেকে সারারাত ভিজিয়ে রাখা বীজগুলি টবের মধ্যে পুঁতে দিতে হবে।
বীজ পোঁতার আগে একটি বড় টবে মাটির সাথে ভালোভাবে গোবর সার মেশাতে হবে। গোবর সার না দিলে ভালো পরিমাণে ফলন পাওয়া সম্ভব নয়। ক্যাপসিকাম গাছ একটু বড় হলেই ফলের ভারে হেলে যায় তাই গাছ বড় হলেই একটি খুঁটি দিয়ে ঠ্যাকা দিতে হবে।
তবে ক্যাপসিকাম গাছ একটু বড় হলেই পোকামাকড় লাগে, তাই যদি সাবানগুঁড়োর জল গাছের পাতায় দেওয়া হয় তা হলে পোকামাকড়ের হাত থেকে গাছকে অনেকটাই বাঁচানো সম্ভব। চারা গাছ থেকে বড় গাছ হওয়ার দু-চার মাসের মধ্যেই ভাল ফলন পাওয়া যায়।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।