লাইফস্টাইল ডেস্ক : বিশ্বজুড়ে প্রতিদিনই হৃদরোগে আক্রান্ত হচ্ছেন অসংখ্য মানুষ। যার ফলাফলও ভয়ানক। রোগের দিক দিয়ে হৃদরোগে আক্তান্তের হারও বেশি। তবুও দেখা যায় বেশিরভাগ মানুষের এই রোগ নিয়ে সচেতনতার অভাব।
বিশেষজ্ঞদের মতে, দৈনন্দিন কাজের মধ্যেই এমন অনেক কাজ রয়েছে, যা বাড়িয়ে দেয় হৃদরোগের ঝুঁকি। তবে এই ঝুঁকি কমাতে কাজে আসবে সঠিক খাদ্যাভ্যাস ও জীবনচর্চা।
আসুন, দেখে নেয়া যাক, কোন অভ্যাসগুলো বাড়িয়ে দেয় হৃদরোগের ঝুঁকি-
যে সকল ব্যক্তি প্রাত্যহিক জীবনে বেশ সক্রিয় বা সচল থাকেন তাদের তুলনায় যারা পর্যাপ্ত নড়াচড়া করেন না এবং প্রতিদিন পাঁচ ঘণ্টা বা তার বেশি সময় ধরে বসে থাকেন, তাদের হৃদযন্ত্রের সমস্যা তৈরি হওয়ার ঝুঁকি দ্বিগুণ বেশি হয়। কাজের জন্য যদি সারা দিন টেবিলের সামনে বসে থাকতে হয়, তা হলেও প্রতি ঘণ্টায় অন্তত পাঁচ মিনিট হাঁটাহাঁটি করুন। প্রতি দিনের রুটিনে এই ছোট পরিবর্তন আপনার ধমনীকে নমনীয় রাখে এবং রক্ত সঞ্চালন ভাল রাখে।
অত্যধিক অ্যালকোহল পান করার ফলে উচ্চ রক্তচাপ, স্ট্রোক এবং স্থূলতা দেখা দিতে পারে। এই অভ্যাস হৃদ্রোগের ঝুঁকি বাড়ায় অনেকটাই। বিশেষজ্ঞদের মতে, পুরুষদের জন্য দিনে দু’বার ও নারীদের জন্য দিনে একবারের বেশি মদ্যপান হৃদযন্ত্রের স্বাভাবিক ছন্দে ব্যাঘাত ঘটাতে পারে এবং হৃদরোগের কারণ হতে পারে।
দাঁতের পরিচর্যা শুধু আপনার দাঁতের স্বাস্থ্যের জন্যই গুরুত্বপূর্ণ নয়। ২০১৪ সালে জার্নাল অফ পিরিওডেন্টাল রিসার্চ-এ প্রকাশিত একটি গবেষণায় দেখা গেছে, হৃদযন্ত্রের সমস্যায় আক্রান্ত ব্যক্তিদের মধ্যে যারা সঠিকভাবে দাঁতের যত্ন নেন তাদের মধ্যে সংবহনতন্ত্রের সমস্যা কম দেখা যায়। বিশেষজ্ঞদের মতে, মাড়ির রোগের সঙ্গে যুক্ত ব্যাক্টেরিয়া শরীরে প্রদাহ বাড়ায় এবং সেই প্রদাহ হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ায়।
অত্যধিক সোডিয়াম উচ্চ রক্তচাপের কারণ হতে পারে, যা বাড়িয়ে দেয় হৃদরোগের ঝুঁকি। শুধু খাওয়ার সময় অতিরিক্ত লবণই নয়, প্রক্রিয়াজাত খাবার, স্যুপ, হিমায়িত খাবার, চিপস এবং অন্যান্য লবণাক্ত স্ন্যাকসেও প্রচুর পরিমাণ লবণ থাকে। বিশেষজ্ঞদের মতে, দৈনিক ১৫০০ মিলিগ্রামের বেশি সোডিয়াম গ্রহণ করা উচিত নয়।
হৃদযন্ত্র সারাদিন কঠোর পরিশ্রম করে। পর্যাপ্ত না ঘুমালে, সংবহনতন্ত্র প্রয়োজনীয় বিশ্রাম পায় না। ঘুমের প্রথম পর্বে হৃদস্পন্দন এবং রক্তচাপ কমে যায় (নন-আরইএম পর্যায়)। দ্বিতীয় পর্বে (আরইএম ঘুম) মানুষ যেমন স্বপ্ন দেখে সেই অনুপাতে হৃদস্পন্দন বাড়ে ও কমে। সারা রাত এই পরিবর্তনগুলো হৃদযন্ত্রকে ভালো রাখে বলেই মত বিশেষজ্ঞদের।
দীর্ঘ দিন ধরে ঘুমের অভাব বা ব্যাঘাত ঘটলে কর্টিসল এবং অ্যাড্রেনালিনের মাত্রা আশঙ্কাজনক হারে বাড়তে পারে, যা অতিরিক্ত মানসিক চাপের সমতুল্য। বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রাপ্ত বয়স্কদের দিনে অন্তত সাত থেকে আট ঘণ্টা ঘুমের প্রয়োজন। সূত্র- আনন্দবাজার অনলাইন
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।