জুমবাংলা ডেস্ক : মোবাইলে খুদে বার্তার মাধ্যমে জনগণের কাছে আবহাওয়ার পূর্বাভাস ও সতর্কবার্তা দিতে কাজ করছে সরকার। বৃহস্পতিবার সংসদ ভবনে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির বৈঠকে মন্ত্রণালয়ের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়। দীর্ঘমেয়াদি পূর্বাভাসের জন্য দেশে ২৫০ কোটি টাকার একটি প্রকল্প চলমান রয়েছে।
গত ১৯ অক্টোবর কমিটির বৈঠকে এ-সংক্রান্ত সুপারিশ করে সংসদীয় কমিটি। সেই আলোকে বৃহস্পতিবারের বৈঠকে বাস্তবায়ন অগ্রগতির প্রতিবেদন দেয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়। কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ সুবিদ আলী ভূঁইয়ার সভাপতিত্বে বৈঠকে আরও অংশ নেন কমিটির সদস্য মুহাম্মদ ফারুক খান, নাসির উদ্দিন ও নাহিদ ইজাহার খান।
আবহাওয়া অফিস সূত্র জানায়, বর্তমানে বাংলাদেশ বেতার, বাংলাদেশ টেলিভিশন ও আবহাওয়া অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটে পূর্বাভাস জানার সুযোগ রয়েছে। বিশেষ পরিস্থিতিতে নির্দিষ্ট এলাকার স্থানীয় প্রশাসনের মাধ্যমে মাইকিং করা হয়। প্রতিবেদনে বলা হয়, আবহাওয়া অধিদপ্তরের বাস্তবায়নাধীন ‘আবহাওয়া তথ্যসেবা ও আগাম সতর্কবাণী পদ্ধতি জোরদারকরণ’ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় ওয়েবভিত্তিক স্বয়ংক্রিয় সমন্বিত পদ্ধতির সাহায্যে মোবাইলে খুদে বার্তার মাধ্যমে পূর্বাভাস ও সতর্কবার্তা পাঠানোর কার্যক্রম চলমান আছে। প্রতিবেদনে প্রকল্পটি আগামী ৩০ নভেম্বরের মধ্যে শেষ হওয়ার আশা প্রকাশ করা হয়। এটি বাস্তবায়ন হলে আবহাওয়া অধিদপ্তর সব মোবাইল অপারেটর থেকে খুদে বার্তায় জনসাধারণের কাছে পূর্বাভাস ও সতর্কবার্তা পৌঁছে দিতে পারবে।
কমিটির সদস্য মোতাহার হোসেন আবহাওয়ার পূর্বাভাস যথাসময়ে পৌঁছে দেওয়ার এ প্রস্তাব করেন। বৈঠকে কমিটির সভাপতি সুবিদ আলী ভূঁইয়া বলেন, উন্নত বিশ্বে ছয় মাস থেকে এক বছর আগে আবহাওয়ার পূর্বাভাস দেওয়া হয়। বাংলাদেশে কতদিন আগে দেওয়া সম্ভব? জবাবে আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক জানান, বাংলাদেশে আবহাওয়া অধিদপ্তর ১০ দিন আগে পূর্বাভাস দেয়। আবহাওয়ার দীর্ঘমেয়াদি পূর্বাভাস দেওয়ার জন্য দেশে ২৫০ কোটি টাকার প্রকল্প চলমান আছে। প্রকল্পের আওতায় ২২৫টি স্থানে স্বয়ংক্রিয় আবহাওয়ার যন্ত্র বসানোর কাজ শেষ পর্যায়ে রয়েছে। যন্ত্রগুলো চালু হলে বাংলাদেশও দীর্ঘমেয়াদি পূর্বাভাস দিতে পারবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।