আন্তর্জাতিক ডেস্ক : পরপর পাঁচবার কন্যা সন্তান হয়েছে পান্না লাল ও আনিতা দম্পতির সংসারে। পুত্র সন্তানের আশায় ষষ্ঠবারের মতো গর্ভ ধারণ করেছিলেন আনিতা। কিন্তু সন্তান ছেলে হবে নাকি মেয়ে এ নিয়ে দম্পতির মধ্যে ঝগড়া লেগে থাকতো সবসময়। সন্তানের লিঙ্গ জানার জন্য অবশেষে কাস্তে দিয়ে আট মাসের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীর পেট কেটে ফেলেন পান্না লাল।
ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের উত্তর প্রদেশে ২০২০ সালের সেপ্টম্বরে। মামলা গড়িয়েছিল আদালতে। সেই মামলায় শুক্রবার রায় দিয়েছে আদালত। যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হয়েছে পান্না লালের।
এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়, উত্তরপ্রদেশের বাদাউনের সিভিল লাইনের বাসিন্দা পান্না লাল। সন্তান ছেলে হবে নাকি মেয়ে জানতে কাস্তে দিয়ে গর্ভবতী স্ত্রীর পেট কেটেছিলেন তিনি। ঘটনার পর তাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
২২ বছরের সংসার ছিল এই দম্পতির। তাদের রয়েছে পাঁচ কন্যা। ছেলে সন্তানের জন্য স্ত্রীর সঙ্গে নিয়মিত ঝগড়া করতেন তিনি। আনিতার পরিবারও তাদের বিরোধের কথা জানত। তারা পান্না লালকে ঝগড়া বন্ধ করার জন্য অনেকবার বুঝিয়েছে। কিন্তু ছেলে না হলে আনিতাকে ডিভোর্স দিয়ে অন্য নারীকে বিয়ের হুমকি দিতো পান্না লাল।
ঘটনার দিন অনাগত সন্তান কি হবে তা নিয়ে দম্পতির মধ্যে ফের ঝগড়া হয়। সন্তানের লিঙ্গ জানার জন্য ক্ষিপ্ত হয়ে পান্না লাল আনিতার পেট কাটার হুমকি দেয়। আনিতা প্রতিবাদ করলে তাকে মেরে ফেরারও হুমকি দেয় পান্না লাল।
এক পর্যায়ে একটি কাস্তে দিয়ে আনিতার পেট কেটে ফেলেন পান্না। অনিতা আদালতে বলেন, কাটা এতটাই গভীর ছিল যে তার পেট থেকে নাড়িভুড়ি বেরিয়ে আসে। তারপর এ অবস্থায় সে দৌড়ে রাস্তায় বেরিয়ে আসে। রাস্তার পাশের দোকানে তার ভাই কাজ করতো। চিৎকার শুনে সে ছুটে আসে। তাকে দেখে পালিয়ে যায় পান্না লাল।
আনিতাকে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ায় তিনি বেঁচে যান। কিন্তু তার গর্ভের সন্তানটিকে বাঁচানো যায়নি। সন্তানটি ছেলে ছিল।
তবে আদালতে পান্না লাল বলেছেন, আনিতার ভাইদের সঙ্গে তার জমি নিয়ে বিরোধ ছিল। তাকে ফাঁসাতে নিজের ওপর ক্ষত তৈরি করে তার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের করেছে আনিতা।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।