ধর্ম ডেস্ক : আত্মীয়তার সম্পর্ক মানুষের সামাজিক জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ। আত্মীয় ছাড়া বেঁচে থাকা মানুষের জন্য খুবই কষ্টকর। তাই তাদের সঙ্গে সুসম্পর্ক রাখা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আত্মীয়তার বন্ধন রক্ষা করার অর্থ হলো তাদের সঙ্গে উত্তম আচরণ করা, সামর্থ্য অনুযায়ী আর্থিক সাহায্য করা, অসুস্থ হলে সেবা করা এবং নিয়মিত তাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ বা যোগাযোগ করা। কোরআন-হাদিসে এ ব্যাপারে বহু তাগিদ বর্ণিত হয়েছে।
মহান আল্লাহ এরশাদ করেন, ‘যারা আল্লাহকে প্রদত্ত অঙ্গীকার রক্ষা করে এবং প্রতিজ্ঞা ভঙ্গ করে না এবং আল্লাহ যে সম্পর্ক বজায় রাখতে আদেশ করেছেন যারা তা বজায় রাখে, ভয় করে তাদের প্রতিপালককে এবং ভয় করে কঠোর হিসাবকে।
স্থায়ী জান্নাত, এতে তারা প্রবেশ করবে এবং তাদের পিতা-মাতা, পতি-পত্নী ও সন্তান-সন্ততিদের মধ্যে যারা সৎকর্ম করেছে তারাও; এবং ফেরেশতাগণ তাদের নিকট উপস্থিত হবে প্রতিটি দরজা দিয়ে। এবং বলবে, তোমরা ধৈর্য ধারণ করেছ বলে তোমাদের প্রতি শান্তি; কত উত্তম এই পরিণাম।’ (সুরা রাদ: ২০-২৪)
হাদিসে মহানবী (সা.) আত্মীয়তার সম্পর্ক বজায় রাখার নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘যে ব্যক্তি আল্লাহ ও পরকালে বিশ্বাস রাখে, সে যেন তার রক্তের সম্পর্ক বজায় রাখে।’ (বুখারি) আরেক হাদিসে রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি চায় যে তার জীবিকা প্রশস্ত হোক এবং তার আয়ু দীর্ঘ হোক, সে যেন আত্মীয়তার সম্পর্ক বজায় রাখে।’
(আল-আদাবুল মুফরাদ) আরেক হাদিসে বর্ণিত হয়েছে, নবী (সা.) বলেন, ‘আত্মীয়তার সম্বন্ধ আল্লাহর আরশের সঙ্গে ঝুলন্ত রয়েছে। সে বলে, যে ব্যক্তি আমার সঙ্গে সম্পর্ক বজায় রাখবে আল্লাহ তার সঙ্গে সম্পর্ক রাখবেন। আর যে আমার সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করবে, আল্লাহ তার সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করবেন।’ (মুসলিম)
লেখক: শিক্ষক ও ইসলামবিষয়ক গবেষক
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।