আন্তর্জাতিক ডেস্ক : দেশীয় পরিবহন ব্যবস্থার একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ ভারতীয় রেল। রেলপথে জুড়েছে প্রায় 8 হাজারের কাছাকাছি স্টেশন। তবে এর প্রত্যেকটিই ভৌগোলিক অবস্থানের পাশাপাশি একাধিক অজানা ইতিহাস ও বিশেষত্বের নিরিখে ভিন্ন।
ঠিক তেমনই একটি স্টেশন রয়েছে সুদূর বিহারে। জানলে অবাক হবেন, এটিই দেশের একমাত্র স্টেশন যা ভারতের পাশাপাশি প্রতিবেশী দেশ নেপালও ব্যবহার করে। সঙ্গে রয়েছে আরও এক অজানা বৈশিষ্ট্য।
বিহারের ঠিক কোথায় রয়েছে সেই স্টেশন, কী তার নাম?
ভারতীয় রেল পথের শেষ স্টেশন এটি। মূলত প্রতিবেশী রাজ্য বিহারের মধুবনী জেলার জয়নগরে রয়েছে এই স্টেশন। জানিয়ে রাখি, বিহারের এই জয়নগর স্টেশন মূলত নর্থ রেলওয়ে জোনের অধীনে। মধুবনী জেলার অন্তর্গত এই স্টেশনটির প্রধান বিশেষত্ব হল স্টেশনটি ভারতীয় যাত্রীদের পাশাপাশি নেপালের যাত্রীরাও ব্যবহার করতে পারেন।
হ্যাঁ, প্রতিবেশী দেশ নেপালেও প্রতিদিনই ব্যবহৃত হচ্ছে সেই স্টেশনের প্ল্যাটফর্ম। প্যাসেঞ্জার ট্রেন ও মালগাড়ি দুইই যায় এই স্টেশনের ওপর দিয়ে। এখন প্রশ্ন, কীভাবে দুই দেশকে যুক্ত করে এই স্টেশন? ভারত ও নেপালের মধ্যে মেলবন্ধন তৈরি করেছে এই স্টেশনটির ওভারব্রিজ। জানা যায়, স্টেশনটির একটি প্লাটফর্ম রয়েছে ভারতে, অন্যটি নেপালে। আর এর মাঝে রয়েছে একটি ওভারব্রিজ! যা মূলত দুই দেশের স্টেশন, বলা ভাল প্ল্যাটফর্মকে জুড়েছে। যাত্রীরা চাইলে এক প্ল্যাটফর্ম অর্থাৎ এক দেশ থেকে অন্য দেশের প্ল্যাটফর্মে আসতেই পারেন!
বিশেষ শর্তাবলী
বেশ কয়েকটি সংবাদ মাধ্যম সূত্রে যা খবর, ভারতীয় নাগরিকরা যদি নেপালে অবস্থিত অপর প্ল্যাটফর্মটিতে যেতে চান সে ক্ষেত্রে বাধ্যতামূলকভাবে তাঁদের লাগেজ চেক করাতে হবে। মূলত সিকিউরিটি চেকিংয়ের পরই প্রতিবেশী দেশের প্ল্যাটফর্মে পৌঁছতে পারবেন যাত্রীরা।
উল্লেখ্য, ভারত এবং নেপাল দুই দেশে অবস্থিত জয়নগর স্টেশনের দুটি প্লাটফর্ম তৈরিতে অর্থ দিয়েছিল ভারত সরকার। সেই সাথে, রেলপথ তৈরি থেকে শুরু করে যাবতীয় খরচ গেছে ভারতীয় রেলের তহবিল থেকেই। জানিয়ে রাখি, এই জয়নগর স্টেশনটি ভারতের পাশাপাশি নেপালেও একই নামে পরিচিত। মূলত কোঙ্কন রেলওয়ে কর্পোরেশন লিমিটেড নেপাল রেলওয়ে প্রোজেক্টে সহ প্ল্যাটফর্মটির দেখভাল করে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।