জুমবাংলা ডেস্ক : পিরোজপুরের কাউখালীতে ভ্যানগাড়ি চালক নুরুন্নবী খুব সকালে বেড়িয়ে পড়েন আয় রোজগারের জন্য। হাড়ভাঙা খাটুনি আর মাথার ঘাম পায়ে ফেলে সন্তানের লেখাপড়ার খরচ যোগান। আর সন্তানের দেখভাল এবং স্কুলে পৌঁছে দিতেন সালমা বেগম। এভাবেই এগিয়ে যাচ্ছিলেন পায়েল। মা-বাবার এই কষ্টের মূল্য দিয়েছেন। এবার এসএসসি পরীক্ষায় জিপিএ ৫ পেয়েছেন।
পায়েলের এই প্রাপ্তির পিছনে মা-বাবা ছাড়াও অবদান রয়েছে স্কুলের শিক্ষকদের।
উপজেলার দক্ষিণ বাজার নিবাসী ভ্যানচালক নুরুন্নবী ও সালমা দম্পতির মেয়ে পায়েল। কাউখালি এস বি সরকারি বালিকা বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে মানবিক বিভাগে জিপিএ ৫ পেয়েছেন তিনি।
পায়েল বলেন, সকলের সহযোগিতা পেলে আমি উচ্চতর শিক্ষাগ্রহণ করে দেশের সেবায় নিজেকে নিয়োজিত করব।
আগামীদিনে পায়েলের কিভাবে লেখাপড়া করবে, তা নিয়ে মা-বাবা খুবই চিন্তিত।
কাউখালী উপজেলা শিক্ষা অনুরাগী আব্দুল লতিফ খসরু বলেন, মেধাবীদের পাশে আমাদের সবার সহযোগিতা করা দরকার। অনেক কষ্ট করে মাথার ঘাম পায়ে ফেলে নূরন্নবী তার মেয়েকে মানুষের মতো মানুষ করার চেষ্টা করছে।
ভ্যানচালক নুরুন্নবী বলেন, আমি আমার মেয়েকে আদর্শের শিক্ষা দিয়েছি।
আগামীতে পায়েলকে লেখাপড়ার সাহায্য সহায়তা করতে হৃদয়বান মানুষরা এগিয়ে আসবেন বলে আশা করেন তিনি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।