আবির হোসেন সজল : সদর থানা পুলিশের বিশেষ অভিযানে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত মালামালসহ তিন জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পুলিশ সুপার মো. তরিকুল ইসলামের নির্দেশে পরিচালিত এই অভিযানে ডাকাতির প্রস্তুতি ভেস্তে যায়।
রবিবার (৫ অক্টোবর) রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করা হয়। লালমনিরহাট সদর থানার এসআই (নিঃ) জুয়েল চৌধুরী তাঁর সঙ্গীয় অফিসারদের নিয়ে ফুলগাছ মৌজাস্থ সোনার দিঘীর পাড় এলাকায় কাঁচা রাস্তার ওপর থেকে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে তিন ডাকাতকে হাতেনাতে গ্রেপ্তার করেন। তবে অজ্ঞাতনামা ৪–৫ জন ডাকাত পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়।
গ্রেপ্তারকৃত ডাকাতদের মধ্যে রয়েছেন বেল্লাল হোসেন (৪১) পিতা- কালাই সিকদার, সাং-হারবাইত, থানা-জয়দেবপুর, গাজীপুর মহানগর, অশিদ মিয়া (২৭) পিতা- ইসাহাক মিয়া, সাং-গোয়াল কান্দি, থানা-তারাকান্দা, জেলা-ময়মনসিংহ এবং সোহাগ ইসলাম (২০) পিতা- সাইদুল ইমলাম, সাং-দুরাকুটি, থানা ও জেলা-লালমনিরহাট।
পুলিশের তথ্যানুযায়ী, গ্রেপ্তারকৃতদের কাছ থেকে ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত বিভিন্ন মালামাল ও যানবাহন উদ্ধার করা হয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে একটি লোহার হাতলযুক্ত লাল বোল্ট কাঁটার মেশিন, একটি লোহার পাইপ, কাঠের হাতলযুক্ত ছোরা ও হাসুয়া, একটি লাল সবুজ রঙের গামছা, একটি বড় সাদা স্কচটেপ, ৪টি নাইলনের রশি, একটি আকাশী রঙের itel বাটন ফোন, একটি সবুজ রঙের পুরাতন ব্যাটারী চালিত অটো মিশুক রিক্সা এবং একটি নীল রঙের ৬ চাকা বিশিষ্ট পুরাতন পিকাপ।
লালমনিরহাট সদর থানার পুলিশ জানিয়েছে, গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করা হয়েছে। এছাড়া, অন্য পালিয়ে যাওয়া ৪-৫ জন ডাকাতকে গ্রেপ্তারের জন্য অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
এসআই জুয়েল চৌধুরী বলেন, “ডাকাতির প্রস্তুতিকালে অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখার লক্ষ্যে এলাকায় বিশেষ সতর্কতা জারি রয়েছে। অভিযান অব্যাহত রয়েছে যাতে দুষ্কৃতিকারীরা গ্রেপ্তার হয়।”
৩ মাস অন্তর মুনাফাভিত্তিক সঞ্চয়পত্র : সরকারি বিনিয়োগের একটি লাভজনক সুযোগ
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, পুলিশি তৎপরতার কারণে এলাকায় সাধারণ মানুষ নিরাপত্তা অনুভব করছেন এবং আগামি দিনগুলোতে সম্ভাব্য সন্ত্রাস ও ডাকাতি কর্মকাণ্ড রোধে সচেতনতা বৃদ্ধি পাবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।