জুমবাংলা ডেস্ক : ঝিনাইদহের শৈলকূপায় পাইকারি বাজারে প্রতি কেজি পটোল তিন থেকে চার টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এতে চাষিরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। অথচ মার্চ মাসে নতুন পটোল ওঠার পর প্রতি কেজি ১২০ টাকা দরে বিক্রি হয়। চাষিরা জানান, গাছে প্রচুর পটোল ধরছে। আর এতে দাম কমেছে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, জেলার বিভিন্ন মাঠে সারা বছরই নানা সবজি থাকে। গ্রীষ্মকালীন (খরিপ-২) সবজি চাষ হয়েছে ২ হাজার ২৫৩ হেক্টর জমিতে। এরমধ্যে ৫০০ হেক্টরে পটোল চাষ হয়েছে। শৈলকূপা সদর ও হরিণাকুন্ডু উপজেলায় বেশি পটোল চাষ হয়। এখন পটোলের ভরা মৌসুম।
শৈলকূপা উপজেলার কৃষ্ণনগর গ্রামের চাষি কবির জোয়ার্দ্দার জানান, এবার এক বিঘা জমিতে পটোল চাষ করেছেন। প্রথম দিকে খরার কারণে গাছ দুর্বল ছিল। পটোল কম ধরেছিল। বর্তমানে আবহাওয়া অনুকূল হওয়ায় গাছ ফুল ফলে ভরে গেছে। শনিবার শৈলকূপা হাটে ৫ মণ পটোল নিয়ে আসেন। প্রতি কেজি তিন-চার টাকা দরে বিক্রি করেন। হাটে আনতে ২০০ টাকা ভ্যান ভাড়া লেগেছে। এছাড়াও খেত থেকে পটোল তোলার খরচ আছে। হাটে এনে বিক্রি করে ৮০০ টাকা পেয়েছেন। এতে তার খরচ পোষাবে না। ধাওড়া গ্রামের চাষি আব্দুল ওহাব বলেন, ৬৫ কেজি পটোল হাটে এনে চার টাকা কেজি দরে বিক্রি করেন। কাশেম নামের এক ব্যক্তি বলেন, তিনি ৩০ টাকা দিয়ে ১০ কেজি পটল কিনেছেন। বাড়ি নিয়ে গরুকে খাওয়াবেন।
হাট ঘুরে দেখা গেছে, চাষিরা বস্তায় ভরে পটোল এনে লাইন দিয়ে দাঁড়িয়ে আছেন। ক্রেতা কম। সুযোগ বুঝে ফড়িয়ারা সস্তা দামে কিনছে। অথচ শনিবারই শৈলকূপা হাটে খুচরা প্রতি কেজি পটোল ১০ টাকা দরে বিক্রি হয়। চাষি দাম না পেলেও খুচরা ব্যবসায়ীরা লাভ করছে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর ঝিনাইদহের উপপরিচালক মো. আজগর আলি বলেন, ঝিনাইদহের বাজারে পটোল খুচরা ২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। তিনি জানান, আবহাওয়া অনুকূল হওয়ায় গাছে প্রচুর পটোল ধরছে। এজন্য দাম পড়ে গেছে। আর মধ্যস্বত্বভোগীরা লাভবান হচ্ছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।