জুমবাংলা ডেস্ক : গাজীপুর মহানগরীর টঙ্গীর চিহ্নিত সন্ত্রাসী ও যুবলীগ নেতা ইসমাইল (৩৫) সোমবার রাতে গণপিটুনিতে মারা গেছে। হত্যাকাণ্ড, চাঁদাবাজি, ছিনতাই, মাদক কারবারসহ বিভিন্ন সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের একাধিক মামলার আসামি ইসমাইল গাজীপুর মহানগরীর টঙ্গী ৫৪ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি প্রার্থী ছিলেন।
এলাকাবাসী জানান, সন্ত্রাসী ইসমাইল যুবলীগে যোগ দেওয়ার পর আরও বেপরোয়া হয়ে উঠেন। এলাকার সাধারণ মানুষ ছিল তার কাছে জিম্মি। আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের খবরে উৎফুল্ল ও বিক্ষুব্ধ জনতা গত সোমবার রাত ৯টায় সন্ত্রাসী ইসমাইলকে টঙ্গী আউচপাড়া সুরতরঙ্গ রোডে ঘেরাও দেয়। এ সময় গণপিটুনিতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। ইসমাইল সাবেক অবিভক্ত টঙ্গী থানার তালিকাভুক্ত শীর্ষ সন্ত্রাসী।
তিনি টঙ্গী কলেজ গেট ও চেরাগআলী এলাকায় কয়েকটি ফুটপাত নিয়ন্ত্রণ করতেন। এছাড়াও এলাকার সাধারণ ব্যবসায়ী, মার্কেট ও বাড়ির মালিকরা তার চাঁদাবাজিতে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছিল। বাসা-বাড়ির নির্মাণ কাজে বাধা দিয়ে চাঁদাবাজি এবং দলীয় প্রভাব খাটিয়ে এলাকায় বিচার-সালিশের নামে মানুষকে হয়রানি ও জিম্মি করে মোটা অংকের টাকা আদায় করত।
স্থানীয়রা জানান, সন্ত্রাসী ইসমাইল একসময় পুলিশের কনস্টেবল দেখলেও পালিয়ে যেতেন। পরবর্তীতে আওয়ামী লীগে যোগদানের পর পুলিশ দেখলে পালাবে তো দূরের কথা বরং থানায় নিয়মিত তদবির বাণিজ্যে ব্যস্ত থাকত।
এমনকি থানার অফিসার ইনচার্জসহ পুলিশ কর্মকর্তাদের সঙ্গে করমর্দন করে ভাই বলে সম্বোধন করতেন। পেশাদার এই সন্ত্রাসী ইসমাইলকে দিয়ে টঙ্গীর অভিজাত এলাকা আউচপাড়া নিয়ন্ত্রণ করায় স্থানীয় সংসদ সদস্য ও তার চাচার প্রতিও এলাকাবাসী ক্ষুব্ধ।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।