সাইফুল ইসলাম, মানিকগঞ্জ : মানিকগঞ্জ শহরে সন্ধ্যার পর ট্রাফিক পুলিশ না থাকায় ব্যাপক যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। এতে ভোগান্তিতে পড়েছে ঈদ উপলক্ষে কেনাকাটা করতে আসা মানুষ ও সাধারণ চলাচলকারীরা।
মঙ্গলবার রাত আটটার দিকে মানিকগঞ্জ খালপাড় এলাকায় জেলা প্রশাসকের বাসভবন থেকে শুরু করে দুধবাজার স্বর্ণকারপট্টি এলাকা পর্যন্ত ট্রাফিক পুলিশের কোন সদস্যকে দেখা যায়নি। তবে খালপাড় (থানা রোড) ট্রাফিক অফিসের পাশে কয়েকজন ট্রাফিক সদস্যকে দায়িত্ব পালন করতে দেখা গেছে।
রাত আটটার দিকে সরেজমিনে দেখা যায়,
শহরের শহীদ রফিক সড়কে ট্রাফিক পুলিশ না থাকায় মূল সড়কে বেপরোয়া ভাবে চলাচল করছে রিকশা, হ্যালোবাইক, প্রাইভেটকার। সরু এ সড়কটির দুই পাশেই পার্কিং করে রাখা হয়েছে বহু মোটরসাইকেল। সারিবদ্ধভাবে রাস্তা দখল করে ভ্যান বসিয়েছে হকাররা। সড়কে দ্বিমুখী যান চলাচলের ফলে তীব্র যানজট তৈরি হয়েছে।
শহরের ব্যবসায়ীরা জানান, সন্ধ্যার পর শহরে ট্রাফিক পুলিশ না থাকায় ঈদ উপলক্ষে কেনাকাটা করতে আসা সাধারণ মানুষকে হয়রানির শিকার হতে হয়।
পথচারী রবিউল ইসলাম বলেন, মানিকগঞ্জ শহরটি ছোট হলেও এখানে প্রচুর অব্যবস্থাপনা বিদ্যমান। রিকশা-হ্যালোবাইক নিয়ন্ত্রণে ট্রাফিক পুলিশের তেমন আগ্রহ নেই।
মানিকগঞ্জ প্রেসক্লাবের আহবায়ক কমিটির উপদেষ্টা ও বিশিষ্ট সাংবাদিক গোলাম ছারোয়ার ছানু বলেন, গত ঈদুল ফিতরের সময় শহরের যানজট নিরসরে ট্রাফিক পুলিশকে দায়িত্ব পালন করতে দেখা গেলেও এবছর সন্ধ্যার পর শহরে ট্রাফিক পুলিশ দেখা যায়নি। ফলে শহরে তীব্র যানজট তৈরি হচ্ছে। সাধারণ মানুষের ভোগান্তি কমাতে ঈদের সময় অন্তত রাত দশটা পর্যন্ত ট্রাফিক পুলিশের দায়িত্ব পালনের দাবি জানাই।
এ বিষয়ে মানিকগঞ্জ ট্রাফিক পুলিশের পরিদর্শক (টিআই) আব্দুল হামিদ বলেন, বর্তমানে শহরে ট্রাফিক পুলিশের তেমন ডিউটি নেই। আমাদের অধিকাংশ সদস্যরা হাইওয়েতে ডিউটি পালন করছে। শহরে বেশি সমস্যা হলে ট্রাফিক পুলিশ পাঠিয়ে নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। কোথায় যানজট লেগেছে জানান, আমি এখনই লোক পাঠিয়ে নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা নিচ্ছি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।