জুমবাংলা ডেস্ক : মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার ভবানীপুর গ্রামে সাপের ছোবলে প্রাণ গেল এক গৃহবধূর। শনিবার (১৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরে নিজ বসতবাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। নিহত নারী ভবানীপুর গ্রামের কৃষক রাসেল হোসেনের স্ত্রী সালমা খাতুন (২০)।
স্থানীয়রা জানান, শনিবার দুপুরে বসতবাড়িতে সবজি মাচান তৈরি করার সময় সালমার পায়ে সাপে দংশন করে। এ সময় স্থানীয়রা তাকে হাসপাতালে নেওয়ার পরামর্শ দিলেও পরিবারের লোকজন তা অগ্রাহ্য করে। পরে সালমার বাবার বাড়ি ভবানীপুর গ্রামের পাশের গ্রাম রামনগরের এক ওঝার কাছে নেওয়া হয়।
এ সময় সেখানে দীর্ঘ সময় ধরে কথিত ওঝা নানা কেরামতি দেখিয়ে বিষ নামানোর নাটক করে। পরে সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে সালমার শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে থাকে। এক পর্যায়ে ওঝা হাল ছেড়ে দেয়। এ সময় পরিবারের লোকজন কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার সময় সন্ধ্যার দিকে তার মৃত্যু হয়।
নিহত সালমা খাতুনের পাশে আহাজারি করতে দেখা যায় তার ভাইকে। কাঁদছিলেন আর বলছিলেন, ‘ভবানীপুর থেকে আমি শুনলাম আমার বোনকে সাপে কামড়েছে। আমার মা ও খালারা সেখানে গিয়ে দেখে আমার বোন কাঁদছে। ওই মুহূর্তে দ্রুত বোনকে মটমুড়া গ্রামে নিয়ে যায় কবিরাজের কাছে। কবিরাজ বলল তোমার বোনকে সাপে কামড়িয়েছে। ওরা যখন বিষ নামাচ্ছিলো আমার বোন আমাকে বলছিল আমার বুকে চরম ব্যথা করছে নিঃশ্বাস নিতে পারছি না। আমি বললাম বোন আমি তোকে ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাবো। কবিরাজ বলল বিষ নেমে গেছে। তোমার বোন হার্ট এট্যাক করেছে হাসপাতালে নিয়ে যাও।’
এ বিষয়ে গাংনী থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রাজ্জাক জানান, কথিত ওঝার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।