জুমবাংলা ডেস্ক : জামালপুরের মাদারগঞ্জ উপজেলায় জামাই মেলা ঘিরে উৎসবের আমেজ ছড়িয়ে পড়েছে। গত মঙ্গলবার থেকে চরপাকেরদহ ইউনিয়নের পলাশপুর বাজার মাঠে শুরু হওয়া এই মেলা চলবে ২৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত। বড় বড় মাছ, মিষ্টিজাতীয় খাবার, শিশুদের খেলনাসহ নানা পণ্যসহ বাহারি পণ্যে সেজেছে মেলা প্রাঙ্গণ।
মাদারগঞ্জ উপজেলাসহ আশপাশ এলাকার জামাইয়েরা এ সময় শ্বশুরবাড়িতে বেড়াতে আসেন। তারাই মেলার বাহারি জিনিসপত্রের ক্রেতা। দুপুরের পর থেকে মেলায় জামাইদের ভিড় বেড়ে যায়। এ মেলার মূল আকর্ষণ বড় বড় সব মাছ।
সরেজমিন দেখা যায়, মেলায় প্রসাধনী, খাবার, খেলনা, মিঠাই-মিষ্টান্ন, মাছসহ বিভিন্ন ধরনের তিন শতাধিক দোকান বসেছে। রয়েছে চটপটি-ফুচকা থেকে মুখরোচক নানা খাবারের দোকান। শিশুদের বিনোদনের জন্য আছে নাগরদোলা, চরকি, দোলনাসহ নানা আয়োজন।
স্থানীয়রা জানান, মেলা ঘিরে ঈদের আনন্দ বিরাজ করে। মেলা উপলক্ষে চরপাকেরদহ ইউনিয়ন ও আশপাশের বিবাহিত নারীরা তাদের স্বামীকে নিয়ে বাবার বাড়ি চলে আসেন। শ্বশুরবাড়ির লোকজনও জামাইকে বরণ করে নেয়ার জন্য প্রস্তুতি নেন। অনেক শ্বশুর-শাশুড়ি জামাইকে কিছু টাকাও দেন। পরে জামাইয়েরা মেলা থেকে বড় মাছ, মিষ্টান্নসহ বাহারি জিনিসে কিনে শ্বশুরবাড়ি ফেরেন।
প্রথমবারের মতো মেলা উপলক্ষে দাওয়াত পেয়েছেন তেঘরিয়া গ্রামের জামাই রাজু আহম্মেদ। স্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে মেলার একদিন আগেই তিনি শ্বশুরবাড়ি এসেছেন তিনি। মেলার প্রথমদিন সকালে শ্বশুর ও শাশুড়ি টাকাও দেন, সেই টাকা নিয়ে তিনি মেলা থেকে একটি মাছ কিনেছেন। শ্বশুর ও শাশুড়ির জন্য কিনেছেন পান-সুপারি। মিষ্টান্ন ছোট শ্যালিকার জন্য কিনেছেন।
মাছ ব্যবসায়ী আসাদুল ইসলাম বলেন, মেলায় আগে বেশি মাছ কিনত স্থানীয়রা। এখন সারা জেলার মানুষ আসছে। তিন বছর ধরে মেলায় মাছ নিয়ে আসি। স্থানীয় মানুষের সঙ্গেও ভালো সম্পর্ক তৈরি হয়েছে।
ব্যাপক উৎসাহ ও উদ্দীপনায় মেলা জমে উঠেছে জানিয়ে আয়োজক কমিটির প্রধান সমন্বয়ক মোখলেছুর রহমান বলেন, এবার ১৫ থেকে ২০ কোটি টাকার কেনাবেচা হওয়ার আশা করা হচ্ছে। নারী-পুরুষ ও শিশুদের ঢল নেমেছে। আশা করি, সুন্দরভাবেই মেলা শেষ হবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।