জুমবাংলা ডেস্ক : চলছে মধু মাস। বাজারে আম, জাম, কাঠাল, লিচুসহ রসালো সব ফলের পসরা সাজিয়ে বসেছেন দোকানিরা।এ বছর মৌসুমি ফলের উৎপাদন বেশি হলেও মিলছে না ক্রেতার দেখা। এতে ভালো ফলনের মধ্যেও লোকশানের আশঙ্কা করছেন ফল ব্যবসায়ীরা।
মঙ্গলবার (১৪ জুন) দুপুরে মাগুরা শহরের ঢাকা রোড, কলেজ রোড, ভায়না ফল বাজার, নতুন বাজার ফলের হাট ঘুরে দেখা যায়, দোকানে দোকানে বাহারি সব রসালো ফলের প্রসরা। এসব পাকা ফলের মিষ্টি গন্ধ ক্রেতাদের সহজেই আকৃষ্ট করার মতো হলেও এমনটা হচ্ছে না।
মাগুরা শহরের কলেজ রোড এলাকার ফল বিক্রেতা মো. কাশেম শেখ বলেন, অন্যান্য বারের তুলনায় এ বছর ফলের বাজারে মৌসুমি ফলের সরবরাহ বেশি। প্রথমদিকে এ ফলগুলোর দাম একটু বেশি হলেও শেষ সময়ে ফলের দাম থাকছে ক্রেতাদের হাতের নাগালে।
তিনি আরও বলেন, দিনাজপুর থেকে আশা এক ঝুড়ি লিচু কিনেছি তিন হাজার ২০০ টাকায়। আর বিক্রি করছি প্রতি ১০০টি ৩৫০ টাকায়। এছাড়া দোকান ভাড়াসহ অন্যান্য খরচ বাদ দিলে তেমন একটা লাভ হয় না। খেয়ে পরে বেচে থাকার মতো চলছে একরকম।
মাগুরা ঢাকা রোড এলাকার ফল ব্যবসায়ী মো. সুজন শেখ বলেন, সাধারণ জৈষ্ঠ্য মাসে বিদেশি ফল তেমন একটা বিক্রি হয় না। দেশি ফলের চাহিদা বেশি থাকে। তাছাড়া মাগুরায় একজনই এ ফল ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ করেন। এখানে ফলের বাজার দাম দেখাশুনা করার মতো কোনো মানুষ নেই। আমাদের মাগুরায় গত ৬ মাস ধরে বিদেশি ফল দাম যা ছিল তাই আছে কোনো পরিবর্তন নেই।
লিচু ব্যবসায়ী মো. কামাল হোসেন বলেন, এক ঝুড়ি লিচু কিনতে সব মিলিয়ে অনেক খরচ পড়ে যাচ্ছে। এ কারণে একটু বেশি দামে না বিক্রি করতে পারলে লোকশান হয়। তাছাড়া লিচুর এখন শেষ পর্যায়ে চলে আসছে তাই দামও বেশি। ১০০টি লিচু ৩০০ টাকা থেকে শুরু করে ৩৫০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে। তবে বাজারে ক্রেতার সংখ্যা কম থাকায় ব্যবসা ভালো হচ্ছে না।
মাগুরায় হাজরাপুরি লিচুর সুনাম রয়েছে সারা দেশ জুড়ে। বতর্মান বাজারে যেসব লিচু পাওয়া যাচ্ছে তা পাবনা, ঈশ্বরদী ও দিনাজপুর থেকে আসছে।সুজন শেখ নামে এক ক্রেতা বলেন, প্রতি ১০০টি লিচু কিনতে দাম পড়েছে ৩৫০ টাকা। এবারে দামটা একটু বেশি মনে হচ্ছে। আর কিছু অসাধু ব্যবসায়ী কেমিক্যাল ব্যবহার করে ফলের সতেজতা নষ্ট করছেন। এ কারণে ফলপ্রেমীরা ফল কিনতে অনেকটাই আগ্রহ হারাচ্ছেন।
মাগুরা আঞ্চলিক বিপনন কর্মকর্তা মো. আলমগীর হোসেন বলেন, নিয়মিত দ্রব্যমূল্যের বাজার দর নিয়ন্ত্রনসহ ফলের বাজারে অভিযান চালানো হচ্ছে। তবে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী রয়েছেন যারা অধিক মুনাফা লাভের আশায় বেশি দামে ফল বিক্রি করছেন। অভিযান চালিয়ে তাদের কয়েকবার জরিমান করা হয়েছে। এছাড়া বিদেশি ফলের চেয়ে দেশি ফলের দাম তুনামুলক কম থাকছে বলেও জানান তিনি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।