ধর্ম ডেস্ক : ইসলামের দৃষ্টিতে মিথ্যা বলা কবিরা গুনাহ। এটি মুনাফিকের স্বভাব। আর কোরআন ছুঁয়ে মিথ্যা কথা বলা জঘন্যতম গুনাহের কাজ। এ কাজে শুধু গুনাহই হয় না, পবিত্র কোরআনকেও অবমাননা করা হয়।
কোরআন ছুঁয়ে মিথ্যা বলা বিষয়ে হজরত সাহাল ইবনে মিনজাব বলেন, যে ব্যক্তি কোরআন শরিফের কোন একটি সূরার কসম করবে, সে ওই সূরার প্রত্যেকটি আয়াতের বদলায় একটি করে গুনাহ নিয়ে আল্লাহর সাথে সাক্ষাৎ করবে। (মুসান্নাফে ইবনে আবী শাইবা হাদীস ১২৩৬০)
আল্লাহর কাছে তাওবা করে এমন গুনাহর কাজে আর লিপ্ত না হলে শাস্তি থেকে রেহাই পাওয়া সম্ভব। অন্যথায় তাওবা না করে যদি ওই ব্যক্তি এমন গুনাহে লিপ্ত থাকে তবে তিনি শাস্তি পাবেন নাকি ক্ষমা পাবেন তা হবে আল্লাহর ইচ্ছাধীন।
ইতিহাস থেকে জানা যায়, কোরআন ছুঁয়ে মিথ্যা বললে তার মৃত্যু মোটেও স্বাভাবিক হয় না। পৃথিবীর ইতিহাসে বিশ্বাসঘাতকতার জঘন্যতম উদাহরণ হলো পলাশীর যুদ্ধ। এ যুদ্ধে নবাব সিরাজউদ্দৌলার সঙ্গে যারা বিশ্বাসঘাতকতা করেন তাদের মধ্যে অন্যতম মীর জাফর।
এই মীর জাফর নিজের মিথ্যাকে সবার কাছে বিশ্বাসযোগ্য করে তুলতে কোরআন শরীফ মাথায় করে মিথ্যা অঙ্গীকার করেন। নবাব সিরাজউদ্দৌলার সামনে তার পাশে থাকার অঙ্গীকার করেও বেঈমানী করেছিলেন বিশ্বাসঘাতক মীর জাফর।
এতে তার পরিণতি কী হয়? যে ক্ষমতার লোভে মীর জাফর কোরআন ছুঁয়ে মিথ্যা বলেন, সে ক্ষমতা থেকেই ইংরেজরা তাকে সরিয়ে দেন। সিংহাসনে বসান তার জামাতা মীর কাশিমকে।
এরপর তার শরীরে বাসা বাঁধে দুরারোগ্য কুষ্ঠ রোগ। প্রায় এক যুগ কঠিন এ রোগে ভুগে ধুঁকে ধুঁকে মারা যান মীর জাফর। তাই মিথ্যাকে সত্য প্রমাণ করতে ধর্মের ব্যবহার কিংবা পবিত্র কোরআনকে ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকুন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।