স্পোর্টস ডেস্ক : দারুণ শুরুর পর বিশ্বকাপের দ্বিতীয় ম্যাচে হতাশার এক পরাজয়। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে জয়ের কাছাকাছি পৌঁছেও ৪ রানে হেরেছে বাংলাদেশ। এই ইনিংসটিকে এত কাছে নিয়ে যাওয়ার পর মূল কান্ডারি তাওহীদ হৃদয়। কিন্তু ম্যাচ শেষে দলের এমন অবস্থার জন্য তিনি নিজেকেই দায়ী করলেন।
ম্যাচ পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে এসে হারের সব দায় নিজের কাঁধে নিয়েছেন হৃদয়। দলের হয়ে ৩৪ বলে সর্বোচ্চ ৩৭ রান করা ডানহাতি এই ব্যাটার বলেন, ‘আমার মনে হয় ভালো শট ছিল। নরকিয়া (এনরিখ) বেশিরভাগ বল ব্যাক অব লেংথে করে। রান করতে গেলে তো পুল শট খেলতে হবে বা গতিটাকে ব্যবহার করতেই হবে। হয়তো এক্সিকিউশন ভালো হয়নি। আজ যেটা আউট হয়েছে পরেরবার এটা ছয় বা চার হবে।’
হৃদয় আরও বলেন, ‘ম্যাচ হেরে গেছি আমার আউটে। খেলা ফিনিশ করলে হারতাম না। তারা (টপ অর্ডার) তো আউট হয়ে গেছে অনেক আগে। আমি তো শেষ পর্যন্ত ছিলাম। যদি আমি জেতাতে পারতাম… আমিই আউট হয়ে গেছি, পারিনি। আমার কাছে কখনও মনে হয়নি এই ম্যাচ হারতে পারি। যদি খেলা শেষ করতাম ভিন্ন দৃশ্য হতো। এখান থেকেও অনেক কিছু শেখার আছে।’
হৃদয়ের আফসোস ম্যাচটি ফিনিশিং করতে না পারায়, ‘আমি যখন ব্যাট করি, টার্গেটই থাকে ইটেন্ট নিয়ে ব্যাট করব। এটা রানের খেলা, মাথায় থাকে কীভাবে রান করতে পারি, পরিস্থিতি যেমনই হোক না কেন। কখনও হয়তো কঠিন পরিস্থিতির মুখোমুখি হব। ম্যাচের চাহিদা অনুযায়ী খেলার চেষ্টা করি। এ উইকেটে অনেক বড় ব্যাটাররাও রান করতে পারছে না, এখানে স্ট্রাইকরেট কারও বেশি নয়। এখানে যেভাবে আমরা ব্যাট করেছি, শুরুটা ঠিকঠাক ছিল, মাঝখানেও ভালো ছিল। ফিনিশিং ভালো করতে পারিনি। আমি খেলতাম বা যদি ফিনিশ করতাম, হয়তো দৃশ্যপট এমন হতো না।’
দক্ষিণ আফ্রিকার দেওয়া ১১৪ রানের লক্ষ্য তাড়ায় বাংলাদেশ ৫০ রানে ৪ উইকেট হারায়। এরপর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ জুটিটা আসে হৃদয়-মাহমুদউল্লাহ’র ব্যাটে। দুজন মিলে যোগ করেন ৪৪ রান। তাতে জয়ের পথ তৈরি হলেও, শেষ সমীকরণটা মেলানো গেল না। পরের দুটি ম্যাচ জিতে অবশ্য সুপার এইটে যাওয়ার সুযোগ রয়েছে টাইগারদের সামনে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।