লাইফস্টাইল ডেস্ক : এমনিতে ঘুমের দেখা নেই। কিন্তু যখনই বই খুলে পড়তে বসলেন, ওমনি কোথায় থেকে যেন রাজ্যের ঘুম এসে ভিড় জমালো চোখের মণিকোঠায়। এইরকম পরিস্থিতিতে পড়েননি এমন মানুষ কমই আছেন। ছেলেবেলায় পড়তে বসে ঘুমিয়ে পড়ার স্মৃতি কম-বেশি সবারই আছে।
কেবল শিশুদের ক্ষেত্রে নয়। বড়দের ক্ষেত্রেও এমনটা ঘটে থাকে। কখনো কি মনে প্রশ্ন জেগেছে, কেন পড়তে বসলে ঘুম পায়? বিষয়টিকে সাধারণ ভেবে উপেক্ষা করলেও বিশেষজ্ঞরা মনে করেন এতে মনোযোগ দেওয়া উচিত।
বিশেষজ্ঞদের মতে, ঘুম থেকে রক্ষা পেতে যেসব টোটকা অবলম্বন করা যায়, সেগুলোই করা উচিত। নাহয় এই সমস্যা স্মৃতিশক্তিরও শত্রু হয়ে উঠতে পারে। কেন পড়তে বসলে ঘুম পায়? আসলে লেখাপড়ার সময় আমাদের চোখের ওপর সবচেয়ে বেশি চাপ পড়ে। ফলে চোখের পেশী ক্রমশ শিথিল হতে শুরু করে। মস্তিষ্ক অল্প সময়ের জন্য পরিশ্রম করতে চায় না। এসময়ে আমাদের ঘুম পায়।
পড়তে পড়তে ঘুমিয়ে পড়ার আরেকটি কারণ হলো এসময় আমাদের শরীরের বেশিরভাগ অংশই শিথিল থাকে। শুধুমাত্র চোখ এবং মস্তিষ্ক কাজ করে। এমন অবস্থায় মাংসপেশী শিথিল হতে শুরু করে এবং ঘুম আসে। এজন্যই বিশেষজ্ঞরা পড়ার জন্য এক ভঙ্গিতে বসার পরামর্শ দেন।
আমাদের শরীর যখন শিথিল হয়ে পড়ে তখন নিদ্রাভাব চলে আসে। এমনটা যে কেবল পড়াশোনার সময় হয় তা হয়। চলন্ত যানবাহনেও একই কারণে আমাদের ঘুম পায়।
এই সমস্যা এড়াতে করণীয়
পড়াশোনার জায়গায় ভালো আলোর ব্যবস্থা করতে হবে। জায়গাটি এমন হওয়া উচিত যেখানে বাইরের বাতাস ও আলো পাওয়া যায়। এতে শরীর সতেজ থাকবে।
বিছানায় কখনোই পড়তে বসবেন না। এতে ঘুমের প্রবণতা বাড়ে। চেয়ার-টেবিলে পড়ার অভ্যাস করুন। এতে অলসতা দূরে রাখা যায়।
পড়াশুনা শুরু করার আগে হালকা খাবার খান। এতে আলসেমি দূর হবে। এরপরও অতিরিক্ত ঘুম পেলে ১৫-২০ মিনিটের জন্য ঘুমিয়ে নিন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।