লাইফস্টাইল ডেস্ক : বৃষ্টি হয় না, নামেই বর্ষাকাল। তবে একটু বৃষ্টি হলেই বাঙালির রসানায় জায়গা করে নেয় খিচুড়ি। এক্ষেত্রে দইয়ের কথা মনেও পড়ে না।
যদিও খাওয়া দাওয়ার পর দই খেতে মন্দ লাগে না। আর এটা অন্ত্রের জন্যও উপকারী। তবে সনাতন বিশ্বাস অনুযায়ী বর্ষাকালে দই না খাওয়াই উচিত।
আয়ুর্বেদ শাস্ত্র অনুসারে টাইমসঅফইন্ডিয়া ডটকম’য়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনে জানানো হয়, বর্ষাকালে দই খাওয়ার তিনটি দশা– ভাত্তা, পিথা ও কাফা সৃষ্টি করে।
বর্ষায় ভাত্তা ও পিথা দশা বৃদ্ধি পায় যা শরীরকে দুর্বল করে। আর মৌসুমি অসুস্থতা সৃষ্টি করতে পারে।
হজমে জটিলতা: আয়ুর্বেদ শাস্ত্র অনুযায়ী, দই ঠাণ্ডা শক্তি বর্ধক এবং এই মৌসুমে দই খাওয়া হজমক্রিয়া দুর্বল করে নানান রকম সমস্যা যেমন- ফোলাভাব, গ্যাস ও বদহজম সৃষ্টি করে।
এই সমস্যা থেকে বাঁচতে দই খাওয়ার সময় এক চিমটি কালো গোল মরিচ, ভাজা জিরা বা মধু ব্যবহারের পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা, অন্যথায় হজমক্রিয়া ধীর হয়ে যায়।
শ্বাসযন্ত্রের সমস্যা সৃষ্টি করে: বর্ষাকালে নিয়মিত দই খাওয়া মিউকাসের বিস্তার ঘটায় যা শ্বাস যন্ত্রের জটিলতা যেমন- ঠাণ্ডা, কাশি ও কফের সৃষ্টি করে।
এটা আবহাওয়ার আর্দ্রতা ও স্যাঁতস্যাঁতে অবস্থার কারণে হতে পারে যা অ্যালার্জির ঝুঁকি বাড়ায়।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতায় প্রভাব রাখে: আয়ুর্বেদ শাস্ত্র অনুযায়ী, ঠাণ্ডা শক্তি সম্পন্ন খাবার যেমন- দই বর্ষাকালে খাওয়া দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমিয়ে দিতে পারে।
এই ধরনের খাবার অতিরিক্ত খাওয়া দেহে মিউকাসের উৎপাদন বাড়ায় যা অন্ত্রের স্বাস্থ্যে প্রভাব রাখে এবং মৌসুমি অসুস্থতা ও অ্যালার্জি সৃষ্টিতে ভূমিকা রাখে।
যে পন্থায় খাওয়া ভালো
বর্ষাকালে দইয়ের সাথে সামান্য ভাজা জিরা গুঁড়া, কালো গোল মরিচ, বিট লবণ বা মধু যোগ করা ভালো। এতে ঠাণ্ডার ভারসাম্য এবং হজম ও অন্ত্রের স্বাস্থ্য ভালো থাকে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।