আন্তর্জাতিক ডেস্ক : চলতি মাসের শেষের দিকে রাশিয়ায় আয়োজিত ব্রিকস সম্মেলনে সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান যোগ দেবেন না বলে জানিয়েছে ক্রেমলিন। তবে বিশ্বের বৃহত্তম তেল রপ্তানিকারক দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী সম্মেলনে উপস্থিত থাকবেন।
ব্রিটিশ সংবাদ সংস্থা রয়টার্স এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে।
২০০৯ সালে ব্রাজিল, রাশিয়া, ভারত, চীন ও দক্ষিণ আফ্রিকা নিয়ে গঠিত হয় ব্রিকস গ্রুপ। তবে অর্থনৈতিক এই জোটটি ইথিওপিয়া, ইরান, মিসর ও সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং অন্যদের অন্তর্ভুক্ত করার চেষ্টা করছে।
প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের পররাষ্ট্রনীতির সহযোগী ইউরি উশাকভ বলেছেন, ব্রিকসের ১০ সদস্য রাষ্ট্রের মধ্যে ৯টির সরকারপ্রধান রাশিয়ার কাজান শহরে অনুষ্ঠেয় এই শীর্ষ সম্মেলনে অংশ নেবেন। সৌদি আরবের যুবরাজ অংশ না নিলেও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফয়সাল বিন ফারহান আল সৌদ তাঁর প্রতিনিধিত্ব করবেন।
তবে কী কারণে সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান সম্মেলনে যোগ দেবেন না, তা জানাননি এই রুশ কূটনৈতিক।
গত মাসে রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ বলেছিলেন, রাশিয়া সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানকে সম্মেলনে যোগ দেওয়ার জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছে।
এ বিষয় ওয়াকিবহাল দুটি সূত্র জানুয়ারিতে রয়টার্সকে জানায়, রিয়াদ এখনো ব্রিকসে যোগদানের আমন্ত্রণটি বিবেচনা করছে। তাঁদের মধ্যে একজন বলেছিলেন, ব্লকে যোগ দেওয়ার সুবিধা রয়েছে।
সৌদি সরকারি সূত্র ফেব্রুয়ারিতে রয়টার্সকে বলেছিল, সৌদি আরব এখনো যোগদানের আমন্ত্রণে সাড়া দেয়নি এবং বিষয়টি বিবেচনাধীন রয়েছে।
এদিকে বেইজিংয়ের সঙ্গে সৌদি আরবের সাম্প্রতিক সুসম্পর্ক দীর্ঘদিনের মিত্র ওয়াশিংটনের মনে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। ফলে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে রিয়াদ-ওয়াশিংটনের সম্পর্কে টানাপোড়েন সৃষ্টি হয়েছে।
ইউরি উশাকভ বলেন, ব্রিকস এমন একটি জোট, যা উপেক্ষা করা যায় না। এই জোটে যোগদান থেকে বিরত থাকতে পশ্চিম অনেক দেশকেই চাপ দিচ্ছে বলেও দাবি করেছেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, ব্রিকসের সদস্যরা বিশ্বের জনসংখ্যার ৪৫ শতাংশ। তেল উৎপাদনের প্রায় ৪০ শতাংশ এবং বৈশ্বিক পণ্য রপ্তানির প্রায় এক–চতুর্থাংশ।
গোল্ডম্যান শ্যাক্সের অর্থনীতিবিদ জিম ও’নিল ২০০৩ সালে প্রথম ‘ব্রিক’ শব্দটির নতুন অর্থের সূচনা করেন। যেখানে তিনি ব্রাজিল, রাশিয়া, ভারত ও চীনের অর্থনীতি আগামী অর্ধশতাব্দীতে কীভাবে পশ্চিমা অর্থনীতির সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা এবং অতিক্রম করতে পারে তা ব্যাখ্যা করেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।