স্পোর্টস ডেস্ক : বিশ্বকাপের পরই টি-টোয়েন্টি ফরম্যাট থেকে অধিনায়কত্ব থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন বিরাট কোহলি। টি-টোয়েন্ট দলের অধিনায়কত্ব থেকে সরে যাওয়ার বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিজেই জানিয়েছেন তিনি। তবে টি টোয়েন্টিরে অধিনায়কত্ব থেকে সড়ে দাড়ালেও টেস্ট ও ওয়ানডে অধিনায়কত্ব থেকে সরে যাচ্ছেন না বিরাট কোহলি। বিষয়টা ওই পোস্টেই স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন ভারতীয় ক্রিকেট দলের অন্যতম এ তারকা।
ওই পোস্টে বিরাট কোহলি জানান, ‘কাজের চাপটা বুঝতে পারা খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। শেষ আট নয় বছরে তিনটি ফরম্যাটে খেলে, শেষ ৫-৬ বছরে অধিনায়কত্ব করে যে কাজের চাপ সহ্য করেছি আমি, তাতে এখন আমার মনে হচ্ছে নিজেকে আরেকটু অবকাশ দেওয়া উচিত আমার, যেন ভারতীয় দলকে টেস্ট আর ওয়ানডেতে আমি সম্পূর্ণ প্রস্তুত হয়ে নেতৃত্ব দিতে পারি।’
তিনি আরো জানিয়েছেন, এই সিদ্ধান্ত অবশ্য বিসিসিআই সভাপতি সৌরভ গাঙ্গুলি ও সাধারণ সম্পাদক জয় শাহর সঙ্গে আলোচনা করেই এসেছে। অনেক ভাবনা-চিন্তা ও কাছের মানুষ, কোচ রবি শাস্ত্রী ও তার অবর্তমানে দলের অধিনায়কত্ব করা রোহিত শর্মার সঙ্গে আলোচনার পরই এসেছে এই সিদ্ধান্ত।
সেই পোস্টে কোহলি বলেছেন, ‘এই সিদ্ধান্ত নিতে অনেক সময় ব্যয় হয়েছে আমার। অনেক ভাবনা আর কাছের মানুষ, দলের নেতৃস্থানীয় লোক যেমন রবি ভাই, রোহিতের সঙ্গে আলোচনার পর বিশ্বকাপ শেষে টি-টোয়েন্টি অধিনায়কত্ব থেকে সরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’
তবে ব্যাটসম্যান হিসেবে ভারতের টি-টোয়েন্টি দলে থাকবেন তিনি, সেটাই জানিয়েছেন বিরাট। বলেছেন, ‘টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক থাকার সময় নিজের সামর্থ্যের সর্বোচ্চটাই ঢেলে দেওয়ার চেষ্টা করেছি আমি। টি-টোয়েন্টি দলে ব্যাটসম্যান হিসেবে আমি সেটা করতেও থাকব।’
আট দিন আগে কোহলি নির্বাচক দলের সঙ্গে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দল চূড়ান্ত করতে আলোচনায় বসেছিলেন কোহলি। এই সিদ্ধান্তটা তিনি জানালেন তার আটদিন পরই। টি-টোয়েন্টিতে ৪৫ ম্যাচে ভারতকে নেতৃত্ব দিয়ে ২৯টিতেই জয় পেয়েছেন কোহলি। হেরেছেন ১৪টি, ফল হয়নি দুই ম্যাচের। সাফল্যের হার ৬৪.৪৪ শতাংশ। এই ফরমেটে যা কিনা বিশ্বের যে কোনো অধিনায়কের দ্বিতীয় সেরা সাফল্য (কমপক্ষে ৪০ ম্যাচে নেতৃত্ব দেয়া)।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।