জুমবাংলা ডেস্ক:
গ্রাহকের অনুমতি ও মোবাইল কোম্পানির রিকুইজিশন ছাড়া কললিস্ট ও কথাবার্তা রেকর্ড করে ফাঁস করার অভ্যাস বন্ধের অভিমত দিয়ে হাইকোর্টের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ করা হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট বেঞ্চের বিচারকদের স্বাক্ষরের পর রায়টি গত ২৬ সেপ্টেম্বর সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছে।
ডিজিটাল ডকুমেন্টকে সাক্ষ্য হিসেবে নিতে এভিডেন্স অ্যাক্টও সংশোধন করতে মতামত দিয়েছেন আদালত।
শিশু সৈকত হত্যা মামলার রায়ে বিচারপতি মো. শওকত হোসেন, মো. রুহুল কুদ্দুস ও এ এস এম আব্দুল মোবিনের সমন্বয়ে গঠিত বৃহত্তর বেঞ্চ পূর্ণাঙ্গ রায়ে এমন পর্যবেক্ষণ দিয়ে অভিমত দেন।
রায়ে আদালত বলেন, এটি আমাদের সাধারণ অভিজ্ঞতা যে, আজকাল নাগরিকদের মধ্যে ব্যক্তিগত অডিও-ভিডিওসহ ব্যক্তিগত যোগাযোগের বিষয়গুলো প্রায়ই বিভিন্ন উদ্দেশ্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশ করা হয় এবং প্রকাশিত হয়। সংবিধানের ৪৪ অনুচ্ছেদ অনুসারে আমাদের নাগরিকদের চিঠিপত্রের এবং যোগাযোগের অন্যান্য উপায়ে গোপনীয়তার অধিকারের নিশ্চয়তা অবশ্যই ভুলে যাওয়া উচিত নয় বলে রায়ে বলা হয়েছে।
রায়ে আরও বলা হয়েছে, রাষ্ট্রীয় গোপনীয়তা বজায় রাখার সাংবিধানিক ম্যান্ডেট রক্ষার জন্য বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন এবং বাংলাদেশে পরিচালিত ফোন সংস্থাগুলোর একটি বৃহৎ দায়িত্ব রয়েছে। সংবিধানের সাথে মেলে না এমন আইনের অনুমতি না থাকলে তারা (কোম্পানিগুলো) তাদের গ্রাহক ও দেশের নাগরিকদের যোগাযোগ সম্পর্কিত কোনো তথ্য কাউকে সরবরাহ করতে পারে না।
আদালত আরও বলেছেন, সাক্ষ্যপ্রমাণ আইন সংশোধন না করা বা ডিজিটাল ডকুমেন্টকে প্রমাণ হিসেবে আইন করা না হলে কোনো ব্যক্তির কললিস্ট এবং টেলিফোন কথোপকথনের কোনো স্পষ্ট মূল্য থাকতে পারে না। রায়ে প্রত্যাশা করা হয়েছে যে, আইন সংশোধন করতে বা এ লক্ষ্যে একটি নতুন আইন প্রণয়নের উদ্যোগ নেবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।