কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে দুপক্ষের সংঘর্ষের সম্ভাবনায় পুলিশ পাহাড়ায় জুম’আর নামাজ আদায় করা হয়েছে। ঘটনাটি শুক্রবার দুপুরে উপজেলার যদুবয়রা ইউনিয়নের উত্তর চাদপুর বড় জামে মসজিদে ঘটেছে।
শুক্রবার বেলা দেড়টায় গিয়ে দেখা যায়, মসজিদের বাইরে পুলিশের বেশকিছু সদস্য ও অফিসার এবং মসজিদের ভিতরে চৌরঙ্গী তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ (ইন্সপেক্টর), পুলিশের একজন উপ পরিদর্শক ও কয়েকজন সদস্য। আর মুসল্লিরা নামাজ আদায় করছে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, উত্তর চাদপুর বড় জামে মসজিদের কমিটি ও ইমাম আবুল কালাম আজাদকে নিয়ে যদুবয়রা ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক সবুজ আলী ও জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ সভাপতি আকাশ রেজা ও স্থানীয় মেম্বর সাইদুল ইসলামের সাথে যদুবয়রা ১ নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি তৌহিদুল ইসলাম ও মোহাম্মদ আলী মাস্টার গ্রুপের বিরোধ চলে আসছিল।
বিরোধের জেরে শুক্রবার সকালে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। পরে থানায় বসাবসি করে দুইপক্ষ। তবুও সংঘর্ষের সম্ভাবনা থাকায় জুম’আর নামাজে প্রায় ১২ জন পুলিশ মোতায়েন করা হয়।
এবিষয়ে ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি তৌহিদুল ইসলাম ও মোহাম্মদ আলী মাস্টার বলেন, মসজিদের ইমাম আবুল কালাম আজাদ দীর্ঘদিন এখানে দাঁয়িত্বরত আছেন। সাম্প্রতিক সময়ে তিনি নানান অপকর্মের সাথে জড়িয়ে পড়ায় কিছুদিন আগে উভয়ের সম্মতিতে বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। কিন্তু প্রতিপক্ষরা ব্যক্তগত স্বার্থে আজাদকে বহাল রেখে ঝামেলা সৃষ্টি করছে।
যদুবয়রা ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদ সবুজ আলী বলেন, দীর্ঘদিন মসজিদে কোন কমিটি নেই। প্রতিপক্ষরা জমিদাতা দাবি করে মসজিদ পরিচালনা করে আসত। মসজিদের আয় – ব্যয়ের কোন হিসাব না থাকায় গত শুক্রবার নতুন কমিটি গঠন করা হয়। নতুন সভাপতি আমাদের পক্ষের হওয়ায় ইমাম নিয়ে ঝামেলা করছে।
ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে কুমারখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুজ্জামান তালুকদার বলেন, মসজিদের কমিটি নিয়ে দুপক্ষের উত্তেজনা চলছিল। তাই সংঘর্ষ রুঁখে দিতে জুম’আর নামাজে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। তিনি আরো বলেন, বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।