জুমবাংলা ডেস্ক : আলোচিত অতিরিক্ত সচিব মো. মাহবুব কবীর মিলন নিজের ফেসবুক আইডিতে লিখেছেন, ‘আজ শেষ হলো চাকরি জীবন। অবসর হলো শুরু।আমার নাম শুনলেই অসংখ্য মহোদয়ের গায়ে চাকা চাকা লাল অ্যালার্জি উঠে যায়, এটাই আমার চাকরি জীবনের অন্যতম সার্থকতা। আশা করি সামনে আরও উঠবে, ইনশাআল্লাহ।
বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওএসডি) থেকেই আজ (১৪ ডিসেম্বর) অবসরে যান তিনি।
মঙ্গলবার রাতে নিজের ফেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে দেওয়া স্ট্যাটাসে মাহবুব কবীর আরও লেখেন, ‘সবাইকে কেনা যায় না, মাথা নত করানো যায় না, সেটা প্রমাণ করতে পেরেছি, এটাই আমার জীবনের পরম শান্তির বিষয়।আলহামদুলিল্লাহ। সব সম্মানের মালিক একমাত্র আল্লাহপাক।’
সর্বশেষ রেলপথ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ছিলেন মাহবুব কবীর।রেল বিভাগের নানা অনিয়ম দূর করতে বেশকিছু নতুন উদ্যোগ নিচ্ছিলেন তিনি। গত বছরের ৬ আগস্ট তাকে ওএসডি করা হয়।এর আগে তিনি বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের সদস্য ছিলেন।হয়েছিলেন সংস্থাটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান।সেসময় খাদ্যে ভেজাল ও নানা অনিয়মের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নিয়ে আলোচিত হন মাহবুব কবীর।
মাহবুব কবীর মিলন বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হিসাবে ভেজাল ও নানা অনিয়মের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিয়ে দেশব্যাপী আলোচিত হয়েছিলেন। কর্মজীবনে অত্যন্ত সৎ কর্মকর্তা হিসেবে পরিচিত মিলন। তিনি রেলওয়ের দুর্নীতি বন্ধ এবং ট্রেনের টিকিট কালোবাজারি ঠেকাতে বেশকিছু উদ্যোগ ও পরিকল্পনা নিয়েছিলেন। বিশেষ করে ‘জাতীয় পরিচয়পত্র ছাড়া ট্রেনের টিকিট কাটা যাবে না’ এবং ‘টিকিট যার, ভ্রমণ তার’-এ নিয়ম প্রবর্তন করেন তিনি।
এ ছাড়াও অনলাইন রিফান্ড বা অনলাইনে টিকিট কাটার পর যাত্রী যদি সেটি পরিবর্তন করেন বা যাত্রা বাতিল করতে চান, তাহলে তিনি টিকিট ফেরত দিয়ে অনলাইনেই অর্থ ফেরত নিতে পারবেন- এমন নিয়মও চালু করতে চেয়েছিলেন। একইসঙ্গে রেলওয়ের নিয়োগে দুর্নীতি বন্ধেও নিজে ভূমিকা নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছিলেন আলোচিত এই অতিরিক্ত সচিব।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।