জুমবাংলা ডেস্ক : সিত্রাংয়ের ক্ষয়ক্ষতি কাটিয়ে না উঠতেই আরেকটি ঘূর্ণিঝড়ের পূর্বাভাস দিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী মো. এনামুর রহমান। আগামী ডিসেম্বরে আরেকটি ঘূর্ণিঝড় আসতে পারে বলে জানিয়েছেন তিনি। এ ব্যাপারে সতর্ক থাকার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মঙ্গলবার (২৫ অক্টোবর) সিত্রাং-পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান প্রতিমন্ত্রী।
মন্ত্রী আরেকটি ঘূর্ণিঝড়ের আভাস দিলেও এ ধরনের পূর্বাভাসের তথ্য নিশ্চিত করতে পারেননি আবহাওয়া অধিদপ্তর ও গবেষকবৃন্দ। আবহাওয়া অফিসের পরিসংখ্যান বলছে, ২০১৩ সাল থেকে উপকূলে প্রায় প্রতিবছর একটি করে ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি শক্তিশালী ছিল ২০২১ সালে আঘাত হানা ইয়াস। তার প্রভাবে উপকূলীয় এলাকায় স্বাভাবিকের চেয়ে কয়েক ফুট বেশি উঁচু জোয়ার হয়েছিল।
যদিও এই অঞ্চলে একই মাসে দুটি ঘূর্ণিঝড় রেকর্ড রয়েছে। ১৯৬১ সালে এপ্রিলে এবং ১৯৬৩ সালে নভেম্বর মাসে দুইবার করে ঘূর্ণিঝড় হয়েছিল। গত চার দশকে মোট ২৮টি ঘূর্ণিঝড় হয়েছে। এর মধ্যে মে ও নভেম্বর মাসেই হয়েছে ২৫ বার। মাত্র তিনবার হয়েছে অক্টোবর মাসে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, চলতি শতাব্দীর মধ্যে ২০০৭ সালে সবচেয়ে ভয়ানক ঘূর্ণিঝড় সিডর আঘাত হানে। এর দুই বছর পর ২০০৯ সালে ঘূর্ণিঝড় আইলা উপকূলে ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ চালায়। এরপর ২০১৩ সালে আঘাত হানে ঘূর্ণিঝড় মহাসেন। ২০১৫ সাল থেকে প্রতিবছর যথাক্রমে কোমেন, রোয়ানু, মোরা, তিতলি, ফণী, আম্ফান ও ইয়াসের ধংসযজ্ঞ দেখে উপকূলবাসী। চলতি বছরে সিত্রাং উপকূলে আঘাত হানে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।