স্পোর্টস ডেস্ক: মাউন্ট মঙ্গানুইয়ে স্বাগতিক নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম টেস্টে জয়ের সুবাস পাচ্ছে বাংলাদেশ। স্বাগতিকদের বিপক্ষে চতুর্থ দিন শেষে চালকের আসনে রয়েছে বাংলাদেশ। নিউজিল্যান্ডের ৩২৮ রানের জবাবে বাংলাদেশ প্রথম ইনিংসে করেছে ৪৫৮ রান। বাংলাদেশের লিড ১৩০। এই ১৩০ রানের আগে নিউজিল্যান্ড অলআউট হয়ে গেলে ইনিংস ব্যবধানে হারতো তারা। তবে সেটা আর হচ্ছে না।
নিউজিল্যান্ডের দ্বিতীয় ইনিংসের শুরুতেই উদ্বোধনী জুটি ভেঙে দিয়ে বাংলাদেশকে আশার ঝলক দেন তাসকিন আহমেদ। এরপর দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে ৩৪ করে ইবাদতের দুর্দান্ত ডেলিভারিতে ডেভন কনওয়ে ফিরে গেলে টাইগার ভক্তদের আশা আরও বেড়ে যায়। আগের ইনিংসের এ সেঞ্চুরিয়ানকে নিয়ে দুশ্চিন্তা ছিল বাংলাদেশ শিবিরে। ভয়ংকর সেই ব্যাটসম্যানকে সাজঘরে ফেরানোর পর উইল ইয়ং-রস টেইলর অপ্রতিরোধ্য জুটি গড়ে বাংলাদেশকে হতাশ করেন। তৃতীয় উইকেটে তাদের ৭৩ রানের অনবদ্য জুটিতে বাংলাদেশের ফিল্ডারদেরও অনেক অবদান রয়েছে!
মেহেদী হাসান মিরাজের বলে দুটি ক্যাচ মিস করেন বাংলাদেশের ফিল্ডাররা। এরপর সহজ একটি রানআউটও হাতছাড়া হয় টাইগারদের।
তবে নিউজিল্যান্ডের দলীয় ১৩৬ রানের সময় ৫৪তম ওভারে এক বলের ব্যবধানে ইয়ং ও নিকোলাসের মতো দুরন্ত ফর্মে থাকা দুই ব্যাটসম্যানকে ফিরিয়ে দেন ইবাদত। এরপর ৫৫তম ওভারে বল করতে এসে ব্ল্যান্ডেনকে এলবিডব্লিউয়ের ফাঁদে ফেলেন তরুণ এ পেসার।
ইবাদত ১৭ ওভার বোলিং করে ৪ মেডেনসহ ৩৯ রান দিয়ে শিকার করেছে ৪টি গুরুত্বপূর্ণ উইকেট। তার অনবদ্য স্পেলে এখন পরাজয়ের প্রহর গুনছে স্বাগতিকরা।
চতুর্থ দিনে খেলা শেষে ৫ উইকেটে ১৪৭ রান সংগ্রহ করেছে নিউজিল্যান্ড। বর্তমানে বাংলাদেশ থেকে ১৭ রানে এগিয়ে রয়েছে স্বাগতিকরা। রস টেলর ৩৭ ও রাচীন রবিন্দ্র ৬ রানে অপরাজিত আছেন।
পঞ্চম দিনের শুরুতে টেলএন্ডারদের দ্রুত অলআউট করে দিয়ে বাকি রানগুলো নিতে পারলেই বিদেশের মাটিতে ঐতিহাসিক জয় পাবে বাংলাদেশ। ইতিহাসের সেই প্রান্তের দিকে দাঁড়িয়ে বাংলাদেশ।
এর আগে আজ চতুর্থ দিন সকালে ৪৫৮ রানে থেমেছে বাংলাদেশের প্রথম ইনিংস। শেষ চার উইকেট ১৩ রানে পড়ে যাওয়ায় বাংলাদেশের লিড বেশি হয়নি। নিউজিল্যান্ডের ইনিংস টপকে বাংলাদেশ ১৩০ রানের লিড নেয়। ইনিংস আরও বড় করার সুবর্ণ সুযোগ থাকলেও টেইল এন্ডাররা তা করতে পারেননি।
মিরাজের সঙ্গে সপ্তম উইকেটে ইয়াসির ৭৫ রানের জুটি গড়েন। এর মধ্যেই বাংলাদেশের তৃতীয় ক্রিকেটার হিসেবে এক হাজার রান ও একশ উইকেটের ডাবল স্পর্শ করেন মিরাজ। ক্যারিয়ারে ৩০টি টেস্ট খেলে এ মাইলফলক স্পর্শ করলেন তিনি। তাঁর আগে এই রেকর্ড গড়েছিলেন সাকিব আল হাসান ও মোহাম্মদ রফিক। বিশ্বসেরা অলরাউন্ডারের লেগেছিল ২৮ ম্যাচ আর রফিকের লেগেছিল ৩৩ ম্যাচ।
টিভি লাইভে ‘দেশদ্রোহী’ বলে নান্নুর চরম আক্রমণ, মুখ খুললেন আশরাফুল
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।