আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ইরাকের রাজধানী বাগদাদে সরকার বিরোধী বিক্ষোভে নিরাপত্তা বাহিনীর নির্বিচারে গুলি ও টিয়ার গ্যাসে ১৩ জন বিক্ষোভকারী আহত হয়েছেন। এ সময় বিক্ষোভকারীরা শহরের মূল সড়ক বন্ধ করে দেয় বলে সোমবার দেশটির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
এই মাসের শুরুর দিকে ইরাকের রাজধানী বাগদাদে আমেরিকার ড্রোন হামলায় ইরানি শীর্ষ জেনারেল কাসেম সোলাইমানি নিহতের ঘটনায় ওয়াশিংটন এবং তেহরানের মধ্যে সৃষ্ট উত্তেজনার মধ্যে গত সপ্তাহে ইরাকে বিক্ষোভ শুরু হওয়ার পর সর্বশেষ এই সহিংসতার ঘটনা ঘটল।
চিকিৎসক এবং নিরাপত্তা কর্মকর্তারা জানান, রাজধানীর সিনাক ব্রিজ এবং আশপাশের তায়রান স্কয়ারের নিকটে নিরাপত্তা বাহিনী টিয়ার গ্যাস ও সরাসরি গুলি চালায়, যা সাম্প্রতিক দিনগুলোতে নিয়মিত দৃশ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে। শহরে টিয়ার গ্যাস থেকে ধোঁয়া উঠার পর আহতদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
একজন নিরাপত্তা কর্মকর্তা জানান, বিক্ষোভকারীরা প্রধান প্রধান সড়ক ও চলাচল বন্ধ করে দেয়ায় জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিল নিরাপত্তা বাহিনীকে অনুমতি দেয়ার পর এখন পর্যন্ত কমপক্ষে নয়জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ইতিমধ্যে, জাতিসংঘ ইরাকে রাজনৈতিক সংস্কার ও বিক্ষোভকারীদের এই আন্দোলনকে ঘিরে দুই পক্ষকে শান্তিপূর্ণ অবস্থান বজায় রাখার আহ্বান জানিয়েছে।
চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, বিক্ষোভকারীরা দক্ষিণের তেল সমৃদ্ধ প্রদেশ বসরার সাথে দক্ষিণের শহর নাসিরিয়া মহাসড়ক অবরোধ করে রাখে। অজ্ঞাত বন্দুকধারীরা একটি দ্রুতগামী গাড়ি থেকে তাদের লক্ষ্য করে গুলি চালালে কমপক্ষে ছয়জন বিক্ষোভকারী আহত হয়।
রবিবার বাগদাদ ও দক্ষিণ ইরাকে বিক্ষোভকারীরা টায়ার জ্বালিয়ে প্রধান প্রধান সড়ক অবরোধ করে রাখে। এ সময় কমপক্ষে ২৭ জন আহত হয়। বিক্ষোভকারীরা তাদের দাবি বাস্তবায়নের জন্য সরকারকে এক সপ্তাহের সময়সীমা দিয়েছে। এ সময়ের মধ্যে দাবি মানা না হলে নতুন করে বিক্ষোভের ডাক দেয়া হবে বলে তারা জানিয়েছেন।
গত বছরের ১ অক্টোবর থেকে কর্মসংস্থান, সরকারি সেবা উন্নতকরণ ও দুর্নীতির অবসানের দাবিতে এ বিক্ষোভ শুরু হয়। বিক্ষোভকারীরা নির্বাচনের আগে এবং শাসকগোষ্ঠীর পাশে থেকে পদক্ষেপ নেয়ার পাশাপাশি ইরাকে সাম্প্রদায়িক রাজনৈতিক ব্যবস্থা বন্ধ করারও দাবি জানিয়ে আসছে। বিক্ষোভ শুরু হওয়ার পর থেকে কমপক্ষে ৫০০ জন নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে মারা গেছে। সূত্র : এপি ও ইউএনবি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।