সড়ক আছে, তবে চলাচলের উপযুক্ত নয়। এ কারণে বাধ্য হয়ে চিংড়ি ঘেরের পানিতে বাঁশের ভেলায় ভাসিয়ে এক বৃদ্ধার লাশ নেওয়া হয়েছে কবরস্থানে।
বুধবার ঈদুল আজহার দিন সকাল সাড়ে ৭টার দিকে কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলার উজানটিয়া ইউনিয়নে পেকুয়ারচর গ্রামে এ ‘অমানবিক’ দৃশ্যটি দেখা গেছে।
পানিতে লাশ ভাসিয়ে নেওয়ার ছবি ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে শুরু হয় তুমুল আলোচনা।
জানা গেছে, মঙ্গলবার রাতে উজানটিয়া ইউনিয়নের পেকুয়ার চর গ্রামের গোলাম শরীফের স্ত্রী দিলোয়ারা বেগম (৭০) বার্ধক্যজনিত কারণে মারা যান।
পারিবারিক সিদ্ধান্ত মতে, ঈদুল আযহার নামাজের পর তার জানাজা ও দাফন সম্পন্ন করতে পার্শ্ববর্তী নতুন ঘোনা গ্রামের আজিজিয়া জামে মসজিদ মরদেহ নেওয়া হয়।
স্থানীয়দের দাবি, দীর্ঘদিন ধরে একমাত্র সড়কটি সংস্কার না হওয়ায় চলাচলের অনুপযোগী ‘নরকে’ পরিণত হয়েছে। এ কারণে বাধ্য হয়ে একটি চিংড়ি ঘেরের পানিতে ভেলায় ভাসিয়ে লাশটি কবরস্থানের পার্শ্ববর্তী মসজিদের জানাজার মাঠে নেওয়া হয়।
স্থানীয়রা জানায়, শুধু লাশ দাফন নয়, গ্রামের লোকজনের যাতায়াতেও চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়। উজানটিয়া ইউনিয়নের পেকুয়ারচর গ্রামের ফোরকানের দোকান থেকে আজিজিয়া জামে মসজিদ পর্যন্ত আধা কিলোমিটার সড়ক বিগত ২০ বছরেও সংস্কার করা হয়নি।
জানতে চাইলে উজানটিয়া ইউপি চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, রাস্তাটি ছোট হওয়ার কারণে লাশের খাটিয়া বহন করে চার ব্যক্তি একসঙ্গে হাঁটা সম্ভব না হওয়ায় এমন ‘অমানবিক’ ঘটনাটি ঘটেছে।
এ জন্য তিনি ওই রাস্তার পার্শ্ববর্তী বাসিন্দাদের দায়ী করে বলেন, সড়কটি সংস্কার করার জন্য তারা মাটি নিতে দেয় না।
তিনি আরও বলেন, যুগের পর যুগ রাস্তাটি যেভাবে ছিল, সেভাবে আছে। চিংড়ি ঘেরের পানিতে ভেলায় ভাসিয়ে লাশ পার করার ছবি ফেসবুকে দেওয়ার কারণে এখন সমালোচনা হচ্ছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।